যাত্রীর জন্য সড়কে মাইক্রোবাস নিয়ে অপেক্ষায় থাকে তারা। ভেতরে বসা থাকে কয়েকজন। এর পর সাধারণ কোনো যাত্রী উঠলেই গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। মাঝপথে বেরিয়ে আসে তাদের আসল রূপ। এর পর যাত্রীর সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়। বাধা দিলেই চলে মারধর। কখনো কখনো কেড়ে নেওয়া হয় প্রাণও। যাত্রীবেশে মাইক্রোবাস নিয়ে যমদূত হয়ে অপেক্ষায় থাকা এমন ছয় ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

চট্টগ্রামে বুধবার রাতে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে অলঙ্কার মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন— মো. শাহ আলম আকন (৩২), আবুল কালাম (৪৭), মো. জাকির হোসেন সাঈদ (৩৬), মো. আল আমিন (২৯), মিজানুর রহমান (৫৩) ও নাহিদুল ইসলাম ওরফে হারুন (৩১)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর হোসেন মাস্টার নামের এক প্রবাসীকে অলঙ্কার থেকে জোরারগঞ্জ নেওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় চক্রটি। মাঝপথে হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। কিছুক্ষণ তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারা এলাকায় রাস্তায় ফেলে দেয়। গুরুতর আহত হোসেনকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়। একদিন পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় মামলা করে তার পরিবার। মামলার ছায়া তদন্ত করতে গিয়েই ওই ছিনতাইকারী চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) মো. শামসুল আলম বলেন, এ চক্রটি বরিশাল থেকে ঢাকা হয়ে যাত্রী বেশে চট্টগ্রামের দিকে আসে। পথে যাত্রী হিসেবে কোনো লোক তুলতে পারলে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ, নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার আলী হোসেন, অতিরিক্ত উপ কমিশনার পঙ্কজ দত্ত ও নোবেল চাকমা উপস্থিত ছিলেন।