নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে এগিয়ে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। 

সর্বশেষ পাওয়া ১৫০ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৬০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৭২ হাজার ৪৪০ ভোট। রাতে ডিসি অফিসের সামনে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ফল ঘোষণা করেন। 

এদিকে রাতে একই সময়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাসার সামনে একটি মনিটরে নির্বাচনের ফলাফল দেখানো হয়। এতে ১৯২ ভোটকেন্দ্রে আইভীর ভোট দেখানো হয় ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩। প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকারের ভোট দেখানো হয়েছে ৯২ হাজার ১৭১।    

সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমূর আলম খন্দকার

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখন চলছে ভোট গণনা।

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা মার্কার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার কেউই বড় ধরনের কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি।

এদিকে এই নির্বাচনকে ‘সর্বোত্তম’ সিটি নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছরে যতগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে, আমার বিবেচনায় প্রথম কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সর্বোত্তম।’ 

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ছিল আমার অনেক প্রত্যাশার স্থান। কারণ, আমি ইতিপূর্বে বলেছি, যার শেষ ভালো, তার সব ভালো। নাসিক নির্বাচনে আমি ৪টি কেন্দ্রের ১৪টি বুথ পরিদর্শন করেছি। এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য কোনো সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি।’ 

আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)। এছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।