- সারাদেশ
- বিচার চাওয়ার কথা বললে মরিয়মকে খুন করে ধর্ষকরা
বিচার চাওয়ার কথা বললে মরিয়মকে খুন করে ধর্ষকরা

বরিশালে বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবক। ছবি-সমকাল
ধর্ষণের ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দিতে ৪৩ বছর বয়সী এক নারীকে খুন করেছে ধর্ষকরা। পরে তার মরদেহ সন্ধ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। খুনের ৪৮ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবকের বরাত দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
সেই দুই যুবক হলেন, বরিশালের বাবুগঞ্জের পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের আতাহার উদ্দিনের ছেলে চা দোকানি সুমন ফকির (৩৫) ও একই এলাকার সেলুন ব্যবসায়ী শয়ন চন্দ্র শীল (১৯)।
শনিবার রাতে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের নিজ নিজ দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে।
রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
তিনি জানান, গত বুধবার গভীর রাতে সেই নারী পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন। পরদিন সকাল ১০টার দিকে বাড়ির অদূরে সন্ধ্যা নদীসংলগ্ন খালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিধবা নারী ওই রাতে বাড়িতে একা ছিলেন।
আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বিধবা নারী বাড়িতে একা থাকার বিষয়টি সুমন ও শয়ন জানতে পারে। গভীর রাতে তারা ঘরে ঢুকে নারীকে ‘ধর্ষণ করেন’।
এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দেওয়ার কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী।
ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পাবে এমন আশঙ্কায় তারা বিধবা নারীকে টেনেহিঁচড়ে ঘরের বাইরে এনে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে মারা যান তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত হলে সুমন ও শয়ন মরিয়মের মরদেহ বসতঘর থেকে ১০০ গজ দূরে নদীসংলগ্ন খালে ফেলে দেয়।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই নারীর মাথায় গুরুতর জখম থাকায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিল, এটি হত্যাকাণ্ড। ওই নারীকে হত্যার আগে তিনি ধর্ষণের শিকার হতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছিল।
বিষয়টি তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা দুজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার সুমন ও শয়ন এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
মন্তব্য করুন