- সারাদেশ
- প্রশাসনিক ও ইভিএমে কারচুপির কারণে হেরেছি: তৈমূর
প্রশাসনিক ও ইভিএমে কারচুপির কারণে হেরেছি: তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, তিনি প্রশাসনিক ও ইভিএম ‘কারচুপির’ কারণে হেরে গেছেন।
সেলিনা হায়াৎ আইভীকে লক্ষাধিক ভোটে হারানোর আশা করা বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার রোববার রাতে শহরের মাসদাইরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এই ক্ষোভের কথা জানান তৈমূর।
তিনি বলেন, ‘এই ভোটে অংশ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাক খেলতে হয়েছে। প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইভিএমের কারচুপির জন্য আজকে আমাদের এ পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। এ পরাজয়কে পরাজয় মনে করি না। আমি ধন্যবাদ জানাই জনগণকে, মিডিয়াকে।’
তৈমুর বলেন, ‘জনগণের উপস্থিতি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। তারা ভোটটা দিতে পারেনি। মেশিনটা স্লো। ভেতরে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে; নাহলে এত ডিফারেন্স হতে পারে না।
এটা খেলা হয়েছে সরকার ভার্সাস জনগণ, সরকার ভার্সাস তৈমূর আলম খন্দকার।’
বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পর এই নির্বাচনে তৈমূর স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তবে দলের স্থানীয় নেতারা তার সঙ্গেই ছিলেন।
ভোটের আগে-পরের পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আমার জন্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন; পুলিশের আচরণ। সেটারই প্রমাণ হয়েছে। সকাল থেকে বলে এসেছিলাম ইভিএম মেশিনটা ত্রুটিপূর্ণ, স্লো। কোথাও কোথাও অকেজো, হ্যাং হয়ে যায়।’
গ্রেপ্তার-হয়রানির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যারা ব্যস্ত ছিলেন, তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের লোক আসার পর থেকে গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় একজন মানুষ স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে কিভাবে ঠিক থাকতে পারে?’
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমূর। সেবার দলীয় সিদ্ধান্তে ভোটের আগের দিন তাকে সরে যেতে হয়েছিল। সেবার আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী জয়ী হন।
২০১৬ সালে পরের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী করেছিল সাখাওয়াত হোসেনকে। তবে ফল বদলায়নি। আইভীই আবার মেয়র হন। এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ হারাতে হয় তৈমুরকে।
ভোট শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকারের পদ-পদবি লাগে না। বিএনপি রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এটা নিয়ে মরতে চাই।’
মন্তব্য করুন