উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। রোববার থেকে তারা গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবেন। শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।

এ ঘোষণার পরপরই নতুন করে আরও তিনজন শিক্ষার্থী গণঅনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ২৭ জন শিক্ষার্থী অনশনে অংশ নিলেন। এর আগে দুপুরে কাফনের কাপড় পরে প্রতীকী লাশ নিয়ে মৌন মিছিল করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। প্রতীকী লাশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এই মৌন মিছিল করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে অবস্থান নিতে থাকেন। এরপর শিক্ষার্থীরা কাফনের কাপড় পরে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় একজন শিক্ষার্থী প্রতীকী লাশ হয়ে সামনে শুয়ে পড়েন। তার পাশে একজনকে (কোনো এক বোনকে ভাইয়ের লাশের পাশে) বসে থাকতে দেখা যায়।

এসময় একজন শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমাদের ২৩ জন শিক্ষার্থী এখন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারা ৭২ ঘণ্টা ধরে অনশন করছে। অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন। কিন্তু এখনও তারা অনশন ভাঙেনি। বরং তাদের অবস্থানে তারা অনড়। এখন হয় তো আমরা প্রতীকী অবস্থান নিয়েছি, কিন্তু এভাবে চললে হয় তো আমাদের কাউকে সত্যি সত্যি কাফনের কাপড় পরতে হবে।

এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমরা এই মৌন মিছিলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, তারা ২৩ জন একা নয়। আমরাও মরতে রাজি আছি।

এদিকে ৭২ ঘণ্টা অনশনে এ পর্যন্ত ১৭ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

মৌন মিছিলে লাশ কাঁধে নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর হয়ে চেতনা একাত্তর প্রদক্ষিণ করে আবারও গোল চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন। প্রতীকী মিছিলে সব শিক্ষার্থীকে মুখে মাস্ক পরতেও দেখা যায়।

>> শাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি

>> শাবিপ্রবিতে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী