- সারাদেশ
- ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার সাক্ষ্য
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার সাক্ষ্য

ফাইল ছবি
হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানার ধর্ষণ মামলায় এক যুবলীগ নেতাসহ তিন জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তৃতীয় দফায় এ তিন জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
তারা হলেন- সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রয়্যাল রিসোর্টের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ও আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন। এ নিয়ে মোট সাতজন সাক্ষ্য দিলেন। এ মামলায় মোট ৪৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এদিন সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। মামুনুল হকের সঙ্গে দেখা করতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন তার ছোট ভাই মাশরুর হোসেন ও ছোট বোন সায়মা, ভাগিনা জাবেদসহ পরিবারের অনেক সদস্য। আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রকিবুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
যুবলীগ নেতা রফিকুল আদালতে বলেন, ঘটনার দিন তিনি রয়্যাল রিসোর্টে অনেক মানুষের সমাগম দেখে সেখানে যান। এ সময় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বেশ কিছু সাংবাদিককেও দেখতে পান। ওই সময় সাংবাদিকরা মামুনুল হকের কক্ষের দরজায় নক করলে তিনি দরজা খুলে দেন। এরপর স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মামুনুল হক সঙ্গের নারীকে নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে কিছু সময় পর পুলিশ আসে।
এদিকে মামুনুল হকের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক ও আনিসুর রহমান মোল্লা বলেন, এই মামলটি সাজানো। কারণ এখন পর্যন্ত সাক্ষীর প্রত্যেকেই তাদের সাক্ষ্যে বলেছেন, মামুনুল যখন রিসোর্টে ওই নারীকে নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন, তখন তাকে ভীত বা অস্বাভাবিক দেখা যায়নি। মামুনুল তাকে জোর করে রিসোর্টে নিয়ে গেছেন তেমনও অভিযোগ করেননি কারও কাছে।
গত বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে পাওয়া যায় মামুনুলকে। মামুনুল তাকে স্ত্রী দাবি করলেও ওই নারী ধর্ষণ মামলা করেন তার বিরুদ্ধে।
মন্তব্য করুন