- সারাদেশ
- সাংবাদিক শিমুল হত্যা: প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চান স্বজন-সহকর্মীরা
সাংবাদিক শিমুল হত্যা: প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চান স্বজন-সহকর্মীরা

সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের বিচারিক কার্যক্রম শুরু করতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন স্বজন ও সহকর্মীরা।
তারা বলেন, গত পাঁচ বছরেও শিমুল হত্যাকাণ্ডের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হল না। এটি একদিকে যেমন হতাশাজনক ও বেদনাদায়ক, অন্যদিকে সংবাদকর্মীদের জন্য গভীর উদ্বেগেরও।
এ পরিস্থিতিতে শিমুল হত্যাকাণ্ডের পঞ্চম বর্ষ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে শাহজাদপুর পৌর শহরে তার স্ত্রী-স্বজন ও সহকর্মীরা শোক শোভাযাত্রা করেন। শহর প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে পথসভা করেন তারা।
শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুণ্ডুর সভাপতিত্বে এ আয়োজনে সাংবাদিক নেতা আতাউর রহমান পিন্টু, আবুল কাশেম, হাসানুজ্জামান তুহীন ও শিমুলপত্নী নুরুন্নাহার খাতুন বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, শিমুল খুনের পর তার স্ত্রীর করা মামলাটি গণমাধ্যমকর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের পরও বিচার প্রক্রিয়া কেন থমকে গেল বা কাদের কূটকৌশলে বিচার প্রক্রিয়া হিমাগারে গেল, জাতি তা জানতে চায়।
এর আগে সকালে শাহজাদপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন শেষে সাংবাদিক শিমুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শোক শোভাযাত্রায় শিমুলের ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক, মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা, মামা আব্দুল মজিদ মণ্ডল, মামাতো ভাই আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরের মনিরামপুরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোড়া শটগানের গুলিতে আহত হন শিমুল। পরদিন তিনি মারা যান। পরে শিমুলের স্ত্রী মিরুকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেন। মিরুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে সব আসামি জামিনে রয়েছে।
মন্তব্য করুন