সন্দ্বীপবাসীর নৌ যাতায়াতের সকল ঘাটে একক ইজারা প্রথা বাতিল করে উম্মুক্ত করা, নিরাপদ ও যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণসহ পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন ও সন্দ্বীপ অ্যাডুকেশন সোসাইটি চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।

রোববার পৃথকভাবে দেয়া এই স্মারকলিপি প্রদানের সময় সন্দ্বীপের মানুষের নৌ যাতায়াতের বিভিন্ন মূখী ভোগান্তির কথা তুলে ধরে তা সমাধানের দাবিগুলো তুলে ধরেন তারা।

এসময় সন্দ্বীপ অ্যাডুকেশন সোসাইটির আহ্বায়ক রাজিবুল আহসান সুমন ও সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ বারী বক্তব্য রাখেন।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, এসএম ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম, অ্যাডুকেশন সোসাইটির সদস্য সচিব শাহজামান আরজু, আলতাফ হোসেন, সাইফুর রহমান লিংকন, ফারুন খান, অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষে মনিরুল মাওলা রিপন, বাবর উদ্দীন সাগর. মো. ইব্রাহিম, টিটু, মজিবুল মাওলা, অনলাইন এক্টিভিষ্ট ফোরামের শামসুল আরেফিন শাকিল, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সৈকতসহ সন্দ্বীপের শতাধিক বাসিন্দা।

পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে খাস কালেকশনের নামে একক মনোপলি অবৈধ ইজারা প্রথা বাতিল করে দেশের অন্যান্য নৌ রুটের মতো ঘাট উম্মুক্ত করা, সন্দ্বীপের মানুষের যাতায়াতের সকল ঘাটের অবকাঠামো উন্নয়ন করে উম্মুক্ত পদ্ধতিতে ঘাট পরিচালনা করতে হবে, সকল ঘাটে স্পীড বোট ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৮-১০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ও যাত্রী প্রতি ২০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বিনা মাশুলে পরিবহনের সুযোগ থাকা, ঘাটে যাত্রী পারাপারের জন্য বৈধ আধুনিক মানসম্মত ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে চলাচল উপযোগী যান চলাচল নিশ্চিত করা, ঘাটে টিকেট প্রাপ্তি সহজ করা ও নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা সাধারণ যাত্রীদের দুর্ব্যবহার-হয়রানি বন্ধ করা এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সন্দ্বীপ ও সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, নৌবাহিনী, কোষ্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, জেলা পরিষদ ও মিডিয়া প্রতিনিধি এবং সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করার দাবি তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ।