- সারাদেশ
- নিখোঁজের ২৬ দিন পর স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের ২৬ দিন পর স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজের ২৬ দিন পর তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র আবু হুরায়রার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের তালতলা গ্রামের গোরস্তান পাড়ার পুরাতন একটি কবর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোমিনের স্বীকারোক্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আবু হুরায়রা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের তালতলা গ্রামের গোরস্তানপাড়ার আব্দুল বারেকের ছেলে। সে চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এর আগে রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তালতলা গ্রামের গোরস্তানপাড়া থেকে শহিদুল ইসলামের ছেলে মোমিনকে আটক করে থানায় নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আবু হুরায়রারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গ্রামের গোরস্তানের একটি পুরাতন কবর খুড়ে লাশ গুম করে রাখে। রোববার রাতে মোমিন লাশ গুম করে রাখা কবরটি পুলিশকে দেখিয়ে দিলে খুড়ে স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, শিশু আবু হুরায়রা নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকে ব্যাপকভাবে গুঞ্জন ওঠে তাকে জিনে তুলে নিয়ে গেছে। পয়সাকড়ি দিলে জিন নাকি তাকে ফেরত দিয়ে যাবে। সিরাজগঞ্জ জেলার কথিত জিন চালনাকারী এক কবিরাজের ফাঁদে পড়ে যোগাযোগ রাখেন আবু হুরায়রার বাবা আবদুল বারেক। কবিরাজ ৩০ হাজার টাকার দাবি করেছিলেন। বলেছিলেন, পরদিন সকাল ১০টায় আবু হুরায়রাকে ফিরে পেলে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। তাতেও রাজি ছিলেন আবদুল বারেক। সন্তানকে ফিরে পেতে অধীর আগ্রহে ছিলেন তিনি। কিন্তু আবু হুরায়রা ফিরে আসেনি।
আবু হুরায়রার মা নাসিমা বেগম বলেন, ‘এই ২৬টি দিন আমাদের খাওয়া-দাওয়া নেই। চোখে ঘুম নেই। মোবাইলে কল এলেই আমাদের বুকের ভেতর ধক করে উঠছে। হয়তো কোনো খবর পাবো। কিন্তু এমন খবর পাবো বিশ্বাস করতে পারছি না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহাসিন বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি আবু হুরায়রা বাড়ি থেকে একই গ্রামের শিক্ষক রঞ্জুর কাছে বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দিন স্কুলছাত্রের বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তার লাশ উদ্ধার হলো। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন