যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান

তিনি জানান, আজ সোমবার সকালে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নিজ কক্ষে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে জহুরুল মন্ডল (১৬) নামে ওই কিশোর

জহুরুল পাবনার বিচারাধীন একটি হত্যা মামলার আসামি। গত বছরের ৩০ নভেম্বর থেকে সে এই কেন্দ্রে বন্দি ছিল। সে পাবনার আতাইকুলা উপজেলার বামনডাঙা গ্রামের জেলাল মন্ডলের ছেলে।

মঞ্জুরুল হাসান জানান, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সকালে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরে অনুষ্ঠান চলাকালে জহুরুল নিজ কক্ষে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্য কিশোরেরা দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে কর্মকর্তাদের খবর দেয়। জহুরুলকে কেন্দ্রের কর্মকর্তারা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, ওই কিশোরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসনিম আলম।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রক্তাক্ত জখম করা হয় আরও ১৫ বন্দিকে। এ ঘটনায় কেন্দ্রের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া গত তিন বছরে কয়েকজন বন্দি আত্মহত্যা করেছে। ঘটেছে বন্দি বিদ্রোহ ও পলায়নের ঘটনাও।

এদিকে, পিটিয়ে হত্যা ঘটনার পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটি বন্দি বিক্ষোভ, পলায়ন ও মৃত্যুর ঘটনাগুলোর জন্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও উদাসীনতাকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়।