রাজশাহীতে তরুণীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ইমরান হোসেন ইমন নামের এক যুবককে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় এ রায় দেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩ ধারায় অভিযুক্তকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিনলাখ টাকা জরিমানা, ২৫ ধারায় আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ জরিমানা করা হয়। একটি সাজা শেষ হলে পরবর্তী সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত ইমনের সঙ্গে ভুক্তেভোগী তরুণীর মাঝেমধ্যে কথা হতো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইমরানের আচরণ পছন্দ না হওয়ায় একপর্যায়ে ওই তরুণী তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইমরান ওই তরুণীর ছবি ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করেন এবং এডিটিং করে আপত্তিকর ছবি বানান। এরপর সেগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জারে অনেককে পাঠিয়ে তরুণীকে সামাজিকভাবে হেয় করেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া থানায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ইসমত আরা জানান, এ মামলায় ভিকটিমসহ পাঁচজনের স্বাক্ষী সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩ ও ২৫ ধারায় অভিযুক্তকে এ সাজা দেন বিচারক।

তিনি আরও জানান, জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আসামিকে আরও নয় মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে আসামির হাজতবাসের সময় সাজা থেকে বাদ যাবে।