পাঁচ সন্তান হারানো মাকে পুলিশের সহায়তা, রক্তিম এখনো আইসিইউতে

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ট্রাকচাপায় পাঁচ সন্তান হারানো মানু বালা শীলকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা আরও ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। 

সোমবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট এলাকায় মানু বালার বাড়িতে গিয়ে এই অর্থ হস্তান্তর করেন।  চকরিয়র থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।   

এ সময় নিহত পাঁচ ভাইয়ের ছোট ভাই প্লাবন শীলকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস এবং তাদের বিধবা স্ত্রীদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পরিবারকে এক লাখ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সমাজের বিত্তবান এবং সংসদ সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সাহায্য সহযোগিতা করছেন। 

এদিকে ট্রাকচাপায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মানু বালার অপর সন্তান রক্তিম শীলের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তার জ্ঞান এখনো ফেরেনি। 

উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মাত্র ১১ দিন আগে প্রয়াত বাবা সুরেশ চন্দ্র শীলের শ্রাদ্ধকর্ম করতে গিয়ে মিনি ট্রাকের চাপায় নিহত হন পাঁচ ভাই। ওই দিন ভোরে চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালের পাশে সৎকার পরবর্তী আচার পালনের সময় ৯ ভাই-বোনকেই চাপা দেয় একটি ট্রাক। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন চার ভাই। অপর তিন ভাই ও দুই বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও এক ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বর্তমানে জীবিত দুই ভাইয়ের মধ্যে রক্তিম শীল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন।