- সারাদেশ
- নাসিরনগরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ‘ট্রাকচাপায়’ হত্যার অভিযোগ
নাসিরনগরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ‘ট্রাকচাপায়’ হত্যার অভিযোগ

নিহত রাসেলের পরিবারের আহাজারি। ছবি-মুরাদ মৃধা
মাটি আনা-নেওয়া করতে গিয়ে গ্রামের সড়ক নষ্ট করছিল ইটভাটার ট্রাক। তাতে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন একজন গ্রামবাসী। এরপর একদিন সেই ইটভাটার ট্রাকচাপায় নিহত হলেন তার ছেলে, যে পড়ত স্থানীয় এক মাদ্রাসায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর গ্রামে এমন ঘটনা তোলপাড় তুলেছে এলাকাজুড়ে।
পরিবারের অভিযোগ, ইটভাটার মালিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে শিশুটিকে ‘ট্রাকচাপা দিয়ে’ হত্যা করেছে।
নিহত শিশুর নাম মো. রাসেল মিয়া। রাসেল স্থানীয় হরিপুর সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের টেকপাড়ার মো. আওয়াল মিয়ার ছেলে।
আওয়াল মিয়া সোমবার বিকেলে সমকালকে বলেন, ‘গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এলাকার একটি ইটভাটার অংশীদার ও ট্রাকমালিক মো. কাপ্তান মিয়াকে আমি বাধা দেই। তারা মাটি আনতে গিয়ে সড়ক নষ্ট করে ফেলছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে কাপ্তান মিয়া দলবল নিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তিনি তার কর্মীদের নির্দেশ দেন, ট্রাকের সামনে যা পড়বে সব মাটির সাথে পিষে দিতে। পরে আজ দুপুরে মাটির ট্রাকচাপায় আমার ছেলেকে ওরা মেরে ফেলল। আমি এর বিচার চাই।’
হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল ও তাসলিমা খাতুনও আওয়াল মিয়াকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, রোববার সকালে ট্রাকের মালিক কাপ্তান ও তার দুই ছেলে এসে টেকপাড়ার সবাইকে হুমকি দিয়েছে মাটি নিতে বাধা দিলে ট্রাকের সামনে যা পড়বে সব মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হবে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে মো. কাপ্তান বলেন, ‘ট্রাক ড্রাইভার ছেলেটিকে মারছে। আমার কোনো দোষ নাই। আমি কাউকে কোনো হুমকি দিইনি।’
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই শিশু রাসেলের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা দায়ের করতে আসেনি।
মন্তব্য করুন