সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেশ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সুনাম ক্ষুণ্ণ ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে মৌলভীবাজারের রাজনগরে সাত ব্যক্তির নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব। গত শনিবার স্থানীয় থানায় এ মামলা করেন তিনি।

আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বরচাল গ্রামের পাঠান খানের ছেলে মুসলিম খান, পশ্চিম সুহিতপুর গ্রামের (বুড়াইগাঁও) রফিকুল ইসলামের ছেলে শফিউল আরফিন জুনেদ, জগন্নাথপুর উপজেলার ফাতেমাপুর গ্রামের সোনাহর আলীর ছেলে আমিনুর রহমান, সিলেটের পশ্চিম সুবিদবাজার এলাকার লন্ডনি রোডের মানিক মিয়ার ছেলে আবু তাহের, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুগলপুর গ্রামের ফিরোজ আহমদ খানের ছেলে মোর্শেদ খান, বালাগঞ্জ উপজেলার ডেকাপুর (মুসলিমাবাদ) গ্রামের মির্জা আথদ্দছের ছেলে মির্জা এনামুল হক, একই ঠিকানার আবরুছ মিয়ার ছেলে মির্জা সাইফুল।
ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, আসামিরা দেশের বাইরে থেকে এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ফেসবুকে আসামিদের ব্যবহার করা নাম-ঠিকানাই মামলায় উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী সমকালকে বলেছেন, আসামিরা সবাই যুক্তরাজ্যে বাস করছে।
ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহবুব মামলায় বলেছেন, ১৫-২০ জানুয়ারি পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপির একটি দেশবিরোধী অপশক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে অশ্নীল ভিডিওক্লিপ প্রচার করে। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশপ্রধান, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি বিকৃতি ও ভিডিও ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে আসামিরা। তারা প্রায় সবাই জামায়াত-বিএনপি-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে মামলা করার পর রাজনগর থানা পুলিশ গত রোববার রাতে সিলেটের বালাগঞ্জের ডেকাপুরে দুই আসামির বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে কোনো আসামিকে তারা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিরা দেশে নাকি বিদেশে অবস্থান করছে, সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে সদুত্তর মেলেনি।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেছেন, আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে পুলিশ বিভিন্ন কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে।