- সারাদেশ
- পায়ের জাদু দেখানো তামান্নাকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন
পায়ের জাদু দেখানো তামান্নাকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন
এক পা দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে এ বছর এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া যশোরের ঝিকরগাছার তামান্না আক্তার নুরাকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার রাত ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোনকলে তামান্না নুরাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘তোমার পাশে আমি আছি তুমি এগিয়ে যাও।’
প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান নুরা ও তার পরিবার। কথা বলার ভাষা হারিয়ে শুধুই কাঁদেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, তার মাধ্যমেই এ ফোনালাপ হয়েছে।
নুরার বাবা নওশের আলী সমকালকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার পর আমরা ভাষা হারিয়ে ফেলি। আমার সন্তানের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন এর চেয়ে সৌভাগ্য আর কী হতে পারে?’
তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা লণ্ডন থেকে তামান্না নুরার কাছে ফোন করেন। তিনিও নুরাকে আশ্বস্ত করেন, এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান।
সোমবার দৈনিক সমকালের শেষ পাতায় পায়ের যাদু শিরোনামে এক পা নিয়ে জন্ম নেয়া তামান্না নুরার সাফল্যের কাহিনী প্রকাশিত হয়।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় পায়ে লিখে লড়েছিলেন তামান্না। তার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে। বাবা রওশন আলী ছোট পোদাউলিয়া দাখিল মাদ্রাসার (নন-এমপিও) বিএসসির শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন শিল্পী গৃহিণী। তিন সন্তানের মধ্যে তামান্না সবার বড়।
এইচএসসির ফলে দারুণ খুশি তামান্না জানান, তিনি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখানে গবেষণাধর্মী কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করে বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি নেওয়ার স্বপ্ন তার।
পাশাপাশি দেশ ও মানুষের কল্যাণে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে আগ্রহী। পরিবারের অনটনে সেই স্বপ্ন কীভাবে পূরণ হবে, জানেন না তামান্না। স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন