চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সাত বছর আগের জিল্লুর ভাণ্ডারি হত্যা মামলার রায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- শহীদুল ইসলাম খোকন ও ইসমাইল। আর আবু, কামাল, জসিম, তোতা মিয়া, নাছির ও সুমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।

হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অন্য পাঁচ আসামি জাহাঙ্গীর, রমিজ উদ্দিন রঞ্জু, আজিম, নাজিম ও শাহাব উদ্দিনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন, 'রায়ে আমরা প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে, তাদের বিষয়ে আপিল করা হবে কিনা তা পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে চিন্তা করে দেখব।'

২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছে জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লুর ভাণ্ডারিকে মারধরের পর গুলি করে হত্যা করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, জিল্লুর ভাণ্ডারির ভাই মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাবলুকে ঘটনার তিন মাস আগে স্পন্সর হিসেবে কাতারে নেন আসামি ইসমাইলের ভাই মোহাম্মদ জব্বার। কিন্তু ভিসা নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে বাবলুর সাথে জব্বারের কথা কাটাকাটি হয়। ওই অবস্থায় স্পন্সরশিপ বাতিল করে বাবলুকে দেশে পাঠিয়ে দেন জব্বার।

 ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে ইসমাইলকে রানিরহাট বাজারে পেয়ে জিল্লুর ভাণ্ডারি তার ছোট ভাইকে দেশে ফেরত পাঠানোর কারণ জানতে চান। স্পন্সরশিপের জন্য দেওয়া ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাও ফেরত চান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন রাতে জিল্লুরকে একা পেয়ে মারধর শুরু করে আসামিরা। পরে তার পায়ে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে রাতেই তার মৃত্যু হয়।