ফরিদপুরে ১০ নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা পেলেন সম্মাননা

স্বাধীনতা অর্জনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই প্রথম জাতীয়ভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১০ জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন  মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপির সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অংশ নেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) মো. জামাল পাশা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি মাসুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার মো. আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, জেলা ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জামাল, রাসিন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও নারী নেত্রী আসমা আক্তার মুক্তা, ব্লাষ্টের সমন্বয়কারী এ্যাড. শিপ্রা গোস্বামী প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকার ভিত্তিতে দেশে মোট ৬৫৪ জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মধুখালী উপজেলার উম্মে সালমা (রুলি), বেগম শামসুন নাহার, মোসা. ফাতেমা বেগম, আম্বিয়া বেগম, মোসা. ফুলজান বেগম, ফরিদপুর সদর উপজেলার পারুল বালা সাহা, মায়া রানী সাহা, ভাঙ্গা উপজেলার আরতী রানী ঘোষ ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার অলোকা ঘোষ সম্মাননা পেয়েছেন। এ ছাড়া নগরকান্দা উপজেলার নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জরিনা বেগমের পক্ষে তার কন্যা মোসা. রোকেয়া বেগম সম্মাননা নেন।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার তার সম্মেলন কক্ষে জেলার সম্মাননা প্রাপ্ত নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল, ক্রেস্ট, মাস্ক, শাড়ি ও চাদর তুলে দেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ হাজার টাকা করে দেন।