নোয়াখালীর সেনবাগে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রেমপ্রস্তাব দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায়-দফায় হামলা-পাল্টা হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। 

সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় বাজারের চৌরাস্তা ও কানকির হাট বাজারে বীরকোট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ১১ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইমদাদুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, এই ঘটনায় কানকিরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর হোসেন বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে এবং পাঁচ শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে মামলা দায়ের করেন। 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সেনবাগ উপজেলার কানকির হাট কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়ং ছাতাপাইয়া ইউনিয়নের সিলাদী গ্রামের হুমায়ুনের ছেলে রাকিব (১৮) একই ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের কানকির হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে প্রেম প্রস্তাব দেয়। 

এই নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। এতে মেয়েপক্ষের লোকজন প্রথমে প্রেমিক রাকিবকে চড় থাপ্পড় দেয়। পরবর্তীতে ছেলেপক্ষের লোকজন মেয়ের ভাইকে মারধর করে। পরে এটাকে নিয়ে দুই গ্রামের তীব্র বিরোধের সৃষ্টি হয়। 

ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে সিলাদি ও বীরকোট গ্রামবাসী সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কানকির হাট বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই গ্রামবাসী বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ১০-১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় পুলিশ ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

এই ঘটনার প্রতিবাদে কানকির হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতি মঙ্গলবার সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সকাল ১০ টা থেকে ১১ পর্যন্ত সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়ক অবরোধ করে রেখেছে বলে সমকালকে জানান কানকির হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর হোসেন।

পরে পুুলিশ আটক হওয়া ৬ জনকে ছেড়ে দেয়।

সেনবাগ থানার ওসি মো.ইকবাল হোসেন পাটোয়া সমকালকে বলেন, মামলার পর পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকায় দুই গ্রামের পুরুষ সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে। কানকির হাট বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।