দেনার ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পাবনার ঈশ্বরদীতে দীপা খাতুন (২৫) নামে এক যুবতী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে দাবি করছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। 

দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকালে  বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা শেষে ঈশ্বরদী থানা ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী। 

গত শনিবার দীপা তার মামা মো. মমিন প্রামানিকের বাড়িতে একটি শয়নকক্ষে ‘গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা’ করেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। সেদিন রাতে দীপার পরিবার ঈশ্বরদী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।  

থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দীপার মামা আমিরুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে দীপা যাদের জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। সে টাকা কোথায় গেল, তার তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’ 

দীপার মামাতো বোন সুমি খাতুন বলেন, ‘দীপার মৃত্যুর একদিন আগে মামুন, মারুফ, আব্দুল হাকিম, জাহাঙ্গীর আলম ও রোকেয়া বেগম নামের লোকজন দীপাকে বাড়িতে এসে টাকার জন্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছে। এসব ঘটনারও তদন্ত হওয়া উচিত।’

দীপার বাবা মো. দুলাল বলেন, ‘আমার মেয়ে যাদের কারনে আত্মহত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।’

দীপার বাবা দুলালের অভিযোগ, পাওনাদারের চাপের বিষয় উল্লেখ করে মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) হাদিউল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারের যেসব অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে মামলা রুজু করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ও নির্দেশনা রয়েছে, সে মোতাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’