- সারাদেশ
- ভোট চুরি করে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন: মির্জা আব্বাস
ভোট চুরি করে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, 'বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন জনগণের ভোটের মাধ্যমে। আর শেখ হাসিনা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জনগণের ভোট চুরি করে। এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো মায়া-দয়া নেই। কারণ তাদের ভোটের প্রয়োজন নেই। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, আপনারা আর কোনোদিন ভোট দিতে পারবেন না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যখন নির্বাচন হবে, সেদিনই বাংলার জনগণ ভোট দিতে পারবে। ইনশাল্লাহ বিএনপি সেদিন সরকার গঠন করবে। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না।'
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগাউন্ড স্কুল মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এই সমাবেশ চলাকালে যুবদল কর্মীমের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে বিএনপি ও যুবদলের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, 'একদিকে মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে দিশেহারা আর সরকারের নেতারা ব্যস্ত লুটপাটে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে, তখনই তাদের নেতাকর্মীরা লুটপাট করেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। ১৯৭৩-৭৪ সালে তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করেছিল। চারটি পত্রিকা বাদে সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করেছিল। কোনো টেলিভিশন চ্যানেল ছিল না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আজকের আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো তফাৎ নেই।'
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রিয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল। উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ আজিজ, মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এসএম সাইফুল আলম, এসকে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল প্রমুখ।
সমাবেশে যুবদলের হাতাহাতি
বিকেল সোয়া ৩টায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিমুর রহমান বক্তব্য রাখার সময় দর্শক সারিতে হঠাৎ হৈ-চৈ ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সভায় যুবদলের কিছু নেতা-কর্মী আধিপত্য দেখাতে গিয়ে এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। একপর্যায়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের সিনিয়র নেতারা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সমাবেশে অংশ নেওয়া নগর বিএনপি ও যুবদলের একাধিক নেতাকর্মী সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন