
ঢাকা থেকে গাজীপুর- এই পথ মাড়িয়ে যাবেন যতদূর, একজনের মুখ দর্শন না করে গাজীপুর ছাড়ার যেন নেই উপায়! ডানে তাকালে তিনি, বাঁয়ে চোখ রাখলেও যিনি, সেই মুখচ্ছবিটাই এক যুবলীগ নেতার। তিনি সাইফুল ইসলাম; গাজীপুর মহানগর যুবলীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। সড়ক-মহাসড়কের চারপাশে তিনি যেভাবে প্রচারের ঝাঁপি খুলে বসেছেন, তার মুখটা নিশ্চিত দেখতে হবে বারবার।
নগরবাসীর ভাষ্য, তিনিই গাজীপুরের নতুন 'পয়সাওয়ালা'। নগরের মেয়র হওয়ার অভিপ্রায়ে ঘাটে-মাঠে, পথে-প্রান্তরে গড়েছেন বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনের রঙিন প্রচারমঞ্চ। অভিযোগ আছে, যুবলীগের বড় পদ আঁকড়ে রাখলেও তিনি নেই রাজনীতির মাঠে। তার রাজনীতি বড় বড় বিলবোর্ডে।
সাইফুল শুধু আত্মপ্রচারে মত্ত নয়; অনেক বড় তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বৃত্ত। দলীয় পদ বেচাকেনা, জমি দখল, অবৈধ ঝুট ব্যবসা, মাদক কারবার- হেন কোনো অবৈধ টাকা কামাইয়ের পথ নেই, যে পথে হাঁটছেন না তিনি। এরই মধ্যে নানা অপরাধ আর অনিয়মের ওপর ভর করে সাইফুল শূন্য থেকে উঠেছেন সম্পদের চূড়ায়। গাজীপুরে গড়ে তুলছেন প্রায় ৩০ বিঘা জমির ওপর রিসোর্ট; আছে ডজনখানেক বাড়ি; আধুনিক তিনটি গাড়ি, কারখানা, মার্কেট আর গরুর খামার। সরকারি এক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে সাইফুলের বিপুল সম্পদের আমলনামা। পদ কেনাবেচার তথ্যও আছে ওই প্রতিবেদনে। এরই মধ্যে প্রতিবেদনটি সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সাইফুল প্রসঙ্গে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক বলেন, 'সাইফুল এখন হিসাব ছাড়া টাকার মালিক। গাজীপুরের কত মিল-কারখানা তার দখলে, সেটারও হিসাব নেই। ঝুট ব্যবসার আড়ালে নানা ফিকির করে অবৈধ পথে সে টাকার পাহাড় গড়েছে। কীভাবে সে এত সম্পদের মালিক হলো, তা সরকারেরই উচিত খুঁজে বের করা।'
কে এই সাইফুল :গাজীপুরের শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাবা ওয়াজ উদ্দিন ছিলেন স্থানীয় একটি কারখানার কেরানি। ১৯৯৪ সালে এসএসসি পাসের পর সাইফুল ভর্তি হন টঙ্গী সরকারি কলেজে। কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও হন তিনি। পরে উত্তরায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন।
উত্তরার রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স থেকে ২০০৬ সালের নভেম্বরে চোরাই মোবাইল ফোনসেটসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়েছিলেন সাইফুল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ঘুরতে থাকে তার 'ভাগ্যচাকা'। টঙ্গী এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঝুট ব্যবসা আর দখলবাজি চালাতে থাকেন সমানতালে।
২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটে লড়ে হারেন তিনি। সাইফুলের মামাতো ভাই সেলিম মিয়া বলেন, 'আমার ছোট ভাই নূর মুহাম্মদ মামুনের জামা-কাপড় পরে সাইফুল কলেজে যেত। দারিদ্র্যের সঙ্গেই লড়াই ছিল নিত্যদিন। হঠাৎ শতকোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়ার রহস্য আমার জানা নেই।'
পদ কেনেন, পদ বেচেন :গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হয় ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই। ওই কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়কের পদ বাগিয়ে নেন সাইফুল। অভিযোগ রয়েছে, টাকা ঢেলে পদটি নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। টঙ্গীর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারেক জানান, সাইফুল বহু জায়গায় বলে বেড়িয়েছেন, এই পদ কবজায় নিতে তার সে সময়ের সব উপার্জন চলে গিয়েছিল। পরে তিনি যুবলীগের পদ যেভাবে কিনেছিলেন, একই ফর্মুলায় নেতাকর্মীর কাছে পদ বেচার ফিকিরে নামেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিও ক্লিপের কথোপকথন গাজীপুরের রাজনীতিতে বইয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিবাত্যা। সেই অডিও ক্লিপের চিত্রনাট্য যাকে ঘিরে, তিনি সাইফুল। ওই ফোনালাপে ছিলেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের ২ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন আহমেদ ও যুবলীগের পদপ্রত্যাশী কাইয়ুম সরকার। গাজীপুর যুবলীগের পদ কিনতে সাইফুলকে কেউ দিয়েছেন ৩০ লাখ, কেউ দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা। ওই অডিও ক্লিপ থেকেই বেরিয়ে আসে এমন পিলে চমকানো তথ্য। কণ্ঠস্বর নিজেদের বলে স্বীকারও করছেন ফোনালাপে থাকা ওই দুই নেতা। ওই অডিও ক্লিপের তথ্য বলছে, কাইয়ুম সরকার পদ পেতে সাইফুলকে দেন ৩০ লাখ টাকা; যুবলীগ নেতা আলম পাশা দেন ২০ লাখ টাকা।
যুবলীগ নেতা সুমন আহমেদ দাবি করেন, পদ দেওয়ার নামে সাইফুল যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তাদের একটি তালিকা তার কাছে আছে। এই প্রতিবেদককে তালিকাটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আর সেটি দেননি।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে যুবলীগ সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন সাইফুল। অন্তত ২০ নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, 'প্রতিটি ওয়ার্ডে একই পদের জন্য একাধিক পদপ্রত্যাশীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সাইফুল। কয়েকজনের টাকা দফায় দফায় ফেরতও দেন।' মহানগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম এনামুল বলেন, 'সাইফুল আমার কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা নিয়েছেন, তবে পদ দিতে পারেননি। পরে দল আমার রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ত্যাগ বিবেচনা করে ওয়ার্ডের আহ্বায়ক করে।' মহানগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, 'গাজীপুর সদর থানা যুবলীগের সভাপতির পদ পেতে সাইফুলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতাকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম।'
অনুসন্ধানে জানা যায়, দলীয় পদ পেতে সাইফুলকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দিয়েছেন নেতারা। তবে কারও ভাগ্যে পদ জোটেনি। টঙ্গীর মুদাফা এলাকার একজন টঙ্গী পশ্চিম থানা যুবলীগ সভাপতির পদ পেতে দিয়েছেন ৩০ লাখ টাকা। কুনিয়াতারগাছ এলাকার একজন গাছা থানা যুবলীগ সভাপতির পদ পেতে দিয়েছেন ৪০ লাখ টাকা। টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার এক বাসিন্দা টঙ্গী পূর্ব থানা যুবলীগের সভাপতি পদ পেতে দিয়েছেন ২৫ লাখ টাকা; টঙ্গী পূর্ব থানার তিস্তার গেট এলাকার এক যুবলীগ নেতা দিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। পদপ্রত্যাশী এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'সাইফুল আমাকে ওয়ার্ডের সভাপতি করবে বলে সাত লাখ টাকা নিয়েছিল। পরে অর্ধেক টাকা ফেরত দিয়েছে।'
টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক বলেন, 'বহু মানুষের কাছ থেকে সাইফুল পদ দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে। পদ দেবে বলে আমার ছেলে রবীনের কাছ থেকেও তিন লাখ টাকা নিয়েছিল। পদ দিতে পারেনি।'
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল বলেন, 'যুবলীগের নতুন কোনো কমিটি কি দেওয়া হয়েছে? আর এটা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় যুবলীগের। আপনাকে কে দায়িত্ব দিয়েছে? কে কী বলল, সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি আপনার কাছে জবাবদিহি করতে পারব না। আমার অভিভাবক আছেন। তারা যদি জানতে চান, তাহলে বলব।'
ক্যালকুলেটরেও মেলে না তার সম্পদের হিসাব :এক যুগ আগেও সাইফুল বাস করতেন নানাবাড়ির জীর্ণ কুটিরে। সেই সাইফুল এখন কত সম্পদের মালিক; টাকার অঙ্কে সেটা কত, তা ক্যালকুলেটরে হিসাব করেও কেউ ধারণা দিতে পারেননি। শ্রীপুরের গোসিঙ্গার খিলপাড়ায় গড়ে তুলছেন তিনি ৩০ বিঘা জমির ওপর আধুনিক রিসোর্ট। ওই এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, 'এখানে সাইফুলের দাদাবাড়ি। তার চার চাচা ও দুই ফুফুর জমি কিনে নেন তিনি। রিসোর্টের জন্য অন্য মানুষের জমিও কিনেছেন। আমার দুই বিঘা জমি তার কাছে বিক্রির কথা চূড়ান্ত হয়েছে। অন্তত ৩০ বিঘা জমি সাইফুল কিনেছেন বলে আমার ধারণা। জমিসহ এই রিসোর্টের বাজারদর ১২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।'
গত ১০ জানুয়ারি টঙ্গীর বড়দেওড়া এলাকার নূরুল ইসলাম ভেন্ডারের কাছ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়ে ৮ শতাংশ জমি ও সেখানে থাকা বহুতল একটি ভবন কিনেছেন। জমির বিক্রেতা ভেন্ডার জানান, সাইফুল এরই মধ্যে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি বায়না করেছেন।
টঙ্গীর দেওড়া মিত্তিবাড়ি এলাকায় দুই বিঘা জমির ওপর রয়েছে বড় দুটি অট্টালিকা। টঙ্গীর কাঁঠালদিয়ায় দুই বিঘা জমি, একই এলাকায় পাঁচ কাঠা জমিতে তিনতলা বাড়ি ও এক বিঘা জমিতে রয়েছে একটি গোডাউন। টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার শরিফ মার্কেটের পাশের নয়াবাড়িতে তিন বিঘা জমিতে তিনতলা বাড়ি এবং ৩৫ কক্ষের টিনশেড বাড়িসহ ওই এলাকায় আরও রয়েছে দুই বিঘা পতিত জমি। নিজ মালিকানায় আছে মেসার্স ওয়াইএসডি ট্রেডার্স, টিওয়াই ট্রেডার্স, মেসার্স এসএম ট্রান্সপোর্ট এবং এসটিডি স্টিল সেফটিং হাউস। টঙ্গী আদর্শপাড়া (খাঁপাড়া) এলাকায় এক বিঘা জমির ওপর স্কয়ার বার নামে একটি রড ফ্যাক্টরিসহ গড়ে তুলেছেন একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে দুটি ও ১০ নম্বর সেক্টরে রয়েছে সাইফুলের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা দামের তিনটি গাড়ি আছে তার। মহানগরের ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে মুদাফা এলাকায় রয়েছে গরুর বিশাল খামার।
সাইফুলের মামাতো ভাই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সফিউদ্দিন শোভা বলেন, 'সাইফুলের এত টাকা ছিল না। হঠাৎ কোথা থেকে এত টাকার মালিক হয়ে গেল, আমার জানা নেই।'
এত সম্পদ অর্জনের উৎস কী- এমন প্রশ্ন করতেই সাইফুল অন্য প্রসঙ্গে চলে যান। তিনি বলেন, 'আমি তো ভেসে আসিনি। আমার জন্ম তো এ দেশেই। আপনি বাসায় আসেন, কথা বলব। টেলিফোনে কথা বলার রাইট নেই। সাংবাদিকদের রুলস আছে। সেটা মেনে কথা বলুন।'
মাদক কারবারেও যোগ :সাইফুল একসময় পুরো এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বর্তমানে পাল্টেছে মাদক কারবারের ধরন। এখন মাদক কারবারির পেছনে টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। পরে লাভের একটা বড় অংশ নেন। বছরতিনেক আগে পুলিশ টঙ্গী এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারিদের তালিকা তৈরি করে। ১০ জনের ওই তালিকায় সাইফুলের নাম ছিল এক নম্বরে। তার ভাই শফিকুল ইসলাম শিমুল এখনও মাদক কারবারে নিয়োজিত।
দানশীল নাটক :সাইফুল উদার ও দানশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চেয়েছেন। এ জন্য এলাকার হতদরিদ্রদের ৬৭টি পাকা ঘর করে দিয়েছেন। এর নেপথ্যেও রয়েছে নানা অনিয়ম। যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান, গরিব মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন সাইফুল। সেই টাকার অর্ধেকেরও কম খরচে ঘর করে দেন তিনি। কইয়ের তেলে কই ভেজে বাকি টাকা পুরেছেন নিজের পকেটে। যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম এনামুল অভিযোগ করেন, 'মহানগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে দরিদ্র শাহ আলমকে ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও সাইফুল নিজের টাকায় চার হাজার ইট কিনে দিয়েছিলেন। একপর্যায়ে সাইফুলের নির্দেশে আমাকেই প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করে ঘর তৈরি করে দিতে হয়েছিল।'
মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর :গাজীপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর সাইফুল। হাজার হাজার বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুুনে সেই স্বপ্নের কথাই জানান দিচ্ছেন তিনি। অবৈধ আয়ের টাকায় সাইফুল এই ধুন্ধুমার প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানান টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক। তিনি বলেন, 'টাকা হলে কাঠের পুতুলও কথা কয়। সাইফুল টাকা-পয়সা দিয়ে বেশ কিছু ছেলে পালে। তারাই এই প্রচারণার কাজ চালায়।' তিনি বলেন, 'হঠাৎ সাইফুলের আবির্ভাব। আওয়ামী লীগের কোনো মিছিল-মিটিংয়ে আগে দেখা যায়নি তাকে।'
যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম এনামুল বলেন, 'ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডগুলোর বেশিরভাগই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ওয়ার্ড নেতাকর্মীদের দিয়ে করিয়েছেন। এমন নেতাকর্মীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যাবে। আমাকে দিয়ে অন্তত দুই লাখ টাকার ব্যানার-ফেস্টুন করিয়েছেন সাইফুল।'
মন্তব্য করুন