চালকের সিটে বসেছিলেন মামাতো ভাই ও বন্ধু আননান আকাশ (২২)। পাশে ছিলেন চালক সজীব (২৩)। কিন্তু আকাশ গাড়িটি  নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। রাস্তার পাশের খাদে ছিটকে পড়ে গাড়িটি। এতেই নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থী আকাশ আননান। গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছেন তার বন্ধু গাড়ির মূল চালক সজীব (২৩)। বুধবার সকালে রাজশাহী কাটাখালি পৌরসভা এলাকার জুটমিলের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, দ্রুত গতির একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে খাদে ছিটকে পড়ে যায়। এই ঘটনায় প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা আকাশ ও সজীব গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকাশ মারা যান।

আকাশ পুঠিয়া উপজেলার ভাড়রা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি এবার পুঠিয়ার বিড়ালদহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছিলেন। আহত সজীব নগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার মাসুম মিয়ার ছেলে।

কাটাখালী থানার ওসি  সিদ্দিকুর রহমান জানান, গাড়িটি পুঠিয়া উপজেলার গন্ডগোহালী স্কুলের একজন শিক্ষিকা ও তার ব্যাংকার স্বামীর। তাদের নিয়োগ করা চালক ছিলেন সজীব। স্কুলশিক্ষিকাকে পুঠিয়ায় স্কুলে রেখে চালক সজীব ফেরার সময় পুঠিয়ার বিড়ালদহ থেকে তার মামাতো ভাই ও বন্ধু আকাশকে নিয়ে রাজশাহী ফিরছিলেন।

তবে গাড়িটি সজীব না চালিয়ে চালাচ্ছিলেন আকাশ। গাড়ি চালনায় দক্ষ ছিলেন না আকাশ। তিনি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দ্রুত গতিতে খাদে ফেলে দেন। এতে দুজনই গুরুতর আহত হন। পরে আকাশ নিহত হন। সজীব নিজেও আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।