স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফরিদপুরে উদযাপিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস।  দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে সপ্তাহব্যাপী উদ্বোধন করা হয়েছে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা।

বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক অম্বিকা ময়দানে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। 

পরে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শহর শাখা প্রাঙ্গণে শিশু কিশোর সমাবেশ ও শতকণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। শিশু কিশোরদের পরিচালনায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ১০২ পাউন্ডের কেক কেটে সমাবেশের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষার্থী নওরোজ অহন জিৎ। শিক্ষার্থী সুদীপ্তা কর্মকার ও তাহীরা তাসনিম মিলার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ঝর্না হাসান। শিশুদের মধ্যে ফারহানা জামান, হাফসা বিনতে হায়দার, প্রভাতী নূর বক্তব্য প্রদান করেন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্তাব্যক্তি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনতা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শহর শাখা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়, অনুষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। 

এদিন বাদ জোহর জেলার সব মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল, মোনাজাত ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, সামাজিক প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র, মূক ও বধির বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী স্থানীয় শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কে বিনামূল্যে শিশুদের প্রবেশ ও বিভিন্ন খেলা ও রাইড উপভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, তথ্যচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। 

জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, দেয়াল পত্রিকা, স্মরণিকা প্রকাশ, কুইজ ও বিতর্ক এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শহর শাখা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী এবং বর্ণিল আলোক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।