কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে ব্যাগে করে প্রায় চারশ’ বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশনের অ্যাম্পল ও ভায়াল নিয়ে পালানোর সময় সাহেদা বেগম (৪০) নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার বাদী হয়ে ওই নারীকে আসামি করে সদর থানায় একটি চুরির মামলা করেন।

গ্রেপ্তার সাহেদা সদর উপজেলার হোলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামের ফজল উদ্দিনের স্ত্রী বলে নিশ্চিত করেন সদর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন।

পুলিশ এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাহেদা বেগম ট্রাভেল ব্যাগে করে ইনজেকশনগুলো নিয়ে হাসপাতালের বাইরে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তার ব্যাগ তল্লাশি করেন। এসময় ব্যাগের ভেতর সরকারি সরবরাহের ইনজেকশনগুলো দেখতে পান। এরপর তাকে হাসপাতালের পুলিশ বক্সে সোপর্দ করা হয়।

ইনজেকশনসহ আটক সাহেদা বেগম দাবি করেন, হাসপাতালে কর্মরত এক আয়া তাকে ব্যাগভর্তি ইনজেকশনগুলো দিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছে। তবে তিনি আয়ার নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান।

জেনারেল হাসপাতালের স্টোরকিপার মমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, ওই নারীর ব্যাগে ১৯৮টি প্যানটিক (৪০ মিলিগ্রাম), ৯৮টি মেগাপায়েল (১ গ্রাম) এবং ৭০টি র‍্যানট্রোকস (২ মিলিগ্রাম) মোট ৩৬৬টি ইনজেকশন অ্যাম্পুল ও ভায়াল পাওয়া গেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শহীদুল্লাহ  জানান, ওই নারীর কাছে ইনজেকশনগুলো কোথা থেকে, কার মাধ্যমে, কীভাবে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।