পদ্মা সেতু একটি চেতনার নাম। মহাকালের ব্যবধান ঘুচিয়ে দেওয়া একটি মহৎ উদ্যোগ। শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। এই সেতু চালু হলে গোটা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আয়োজিত 'পদ্মা সেতু : দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি ও সাংবাদিকতা' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ববি'র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা মিলনাতনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ববি'র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। প্রধান আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশগুপ্ত। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ববি'র প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অসীম নন্দি। এতে সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান শরীফা উম্মে শিরীন।

প্রধান আলোচক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের অপরিমেয় চাহিদা সৃষ্টি হবে। এই চাহিদার সঙ্গে প্রয়োজন হবে মানব সম্পদ যোগান দেওয়ার।

তিনি বলেন, সেতু চালু হলে নদী পথের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরো গুরুত্ব বাড়াতে হবে। এছাড়া বরিশাল অঞ্চলের বৈশিষ্ট 'ধান-নদী-খাল' যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

অজয় দাশগুপ্ত বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে মোংলা ও পায়রা বন্দরের গুরুত্ব বেড়ে যাবে। ব্যবসায়ীরা আমদানি রপ্তানির জন্য মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহারে আরও উৎসাহী হবেন। খুলানা শিল্পাঞ্চল নতুন করে জেগে উঠবে। দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে পদ্মা সেতু। রাজধানীতে বসতির উপর চাপ কমাবে এই সেতু।
উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন তার বক্তব্যে বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহনের চাপ বাড়াবে। সেজন্য বাড়তি যানবাহনের চাপ সামলানোর উপযোগী সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণও একান্ত প্রয়োজন। সেই সঙ্গে রেলপথ হলেই সোনায় সোহাগা হবে দক্ষিণাঞ্চল। শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রেও আরো সমৃদ্ধ হবে।

এর আগে এদিন সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে ববি'র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৪ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আলোচনা সভা শেষে ৪ বছর পূর্তি ও ৫ বছরে পদার্পন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেক কাটেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা।