চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৪) হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত আলমগীর মিয়া। 

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে নগরের হালিশহর থানা পুলিশ আলমগীর মিয়াকে আদালতে হাজির করে। 

আসামি আলমগীর মিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আসামি আলমগীর মিয়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় কারা জড়িত তাদের নামও প্রকাশ করেছেন। 

জবানবন্দিতে আসামি আলমগীর বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে কোচিং শেষে বাসায় আসে স্কুলছাত্রী। তাকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করি। এ সময় স্কুলছাত্রী তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ধর্ষণ করতে বাধা দেন। একপর্যায়ে আমার হাতের আঙুলে কামড় দেয়। বাবা-মাকে জানিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়।

‘এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলছাত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাসায় খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যাই। বাসা থেকে বের হয়ে আমার স্ত্রী যে গার্মেন্টেসে কাজ করে সেখানে যাই। এলাকায় একজনের সঙ্গে তার মারামারি হয়েছে জানিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে হালিশহর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যাই।’ যোগ করেন তিনি।

১৫ মার্চ রাতে র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৭ এর অভিযানে মানিকগঞ্জ থেকে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬ মার্চ রাতে আলমগীরকে হালিশহর থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

গত ১৩ মার্চ রাতে হালিশহর থানার আলী শাহ মাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বাবা আলমগীরকে আসামি করে হালিশহর থানায় মামলা করেন।