বেধড়ক মারধরের পর হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচ টেপ লাগিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় রাতে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল কলেজছাত্র জাহিদুলকে। পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেওয়া হলো- এমন চিরকুটও ছিল বস্তায়। তবে প্লাস্টিকের বস্তাটি ডোবেনি। ভোরের দিকে জাহিদুলের গোঙানির শব্দ শুনে তাকে উদ্ধার করেন এক স্কুলশিক্ষক। পরে অর্ধমৃত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি বিপদমুক্ত।

ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার ভোরে সতী নদীর ত্রিমোহনী সেতু এলাকা থেকে জাহিদুলকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের ওদোর বাজার এলাকার প্রয়াত আবুল হোসেনের ছেলে। শহরের শেখ শফিউদ্দিন কমার্স কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল বুধবার রাত ১০টার পর নিখোঁজ হন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে বন্ধুর ডাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন জাহিদুল।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদুল সমকালকে জানায়, তাকে বেধড়ক মারধরের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এর পর একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে জ্ঞান ফিরলে তার গোঙানি শুনে উদ্ধার করেন ওই শিক্ষক।

জাহিদুল অভিযোগ করে বলেন, গত ১ মার্চ বন্ধু ভেবে ভুল একটি মোবাইল নম্বরে কল দেন তিনি। নম্বরটি ছিল উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষার্থী রতনের। ওই সময় রতনের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। ওই ঘটনার জেরে লোকজন নিয়ে রতন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম জানান, পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কামরুল হাসান প্রিন্স বলেন, জাহিদুল এখন বিপদমুক্ত।