- সারাদেশ
- চট্টগ্রামে বামজোটের পথসভায় হামলা
চট্টগ্রামে বামজোটের পথসভায় হামলা

চট্টগ্রামে হরতালের সমর্থনে বামগণতান্ত্রিক জোটের পথসভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে নগরের চকবাজার থানার জিইসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের। হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে নগরের সিনেমা প্যালেস চত্বরে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বামজোট।
হামলায় আহতরা হলেন- বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক ও সিপিবি জেলা সভাপতি অশোক সাহা, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্যসচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বাসদ জেলা ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, সিপিবি জেলা সহসাধারণ সম্পাদক নূরুচ্ছফা ভূঁইয়া, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা জাহেদুন্নবী কনক, বাসদ নেতা আকরাম হোসেন, রায়হান উদ্দিন, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সভাপতি এ্যানি সেন, ছাত্র ফ্রন্ট নেতা প্রীতম বড়ুয়া ও নিলয়। অন্য পাঁচজনের নাম পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৮ মার্চ ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে আধাবেলা হরতাল আহ্বান করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বামজোটের নেতাকর্মীরা জানান, হরতালের সমর্থনে ট্রাকে করে নগরের ১৫টি এলাকায় পথসভা করে বামজোট। রাতে জিইসি মোড়ের কামাল স্টোরের সামনে পথসভা শুরু হয়। সভার শেষ পর্যায়ে ২০-৩০ জন যুবক এসে ট্রাক ঘিরে ফেলে। মাইক টেনে নামিয়ে ফেলে। ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। বাঁশ দিয়ে নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটাতে থাকে।
বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা জাহেদুন্নবী কনক সমকালকে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ডাকা জিইসি মোড়ে সমাবেশ চলাকালে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। “সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যাবে না, “এত সাহস, সরকারের বিরূদ্ধে কথা বলিস” এসব কথা বলতে বলে হামলা চালায় তারা। এ সময় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। হামলায় অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
সিপিবি জেলা সহসাধারণ সম্পাদক নূরুচ্ছফা ভূঁইয়া বলেন, ‘হামলার প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাকে টেনে হিঁচড়ে ট্রাক থেকে নামিয়ে ফেলে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কয়েক জন জয় বাংলা স্লোগানও দেয়।’
জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অ্যানি সেন বলেন, ‘জিইসি মোড়ে ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবসময় আড্ডা দেয়। হামলাকারীরা ওই কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। আড্ডাস্থল থেকে উঠে এসেই তারা হামলা চালিয়েছে।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান তারেক বলেন, ‘ট্রাকে করে মিছিল নিয়ে উনাদের চলে যেতে দেখেছি। হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। ছাত্রলীগের কেউ এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।’
চকবাজার থানার ওসি ফেরদৌস জাহান সমকালকে বলেন, ‘হামলার কোনো তথ্য আমরা পাইনি। কেউ অভিযোগও করেনি।’
মন্তব্য করুন