- সারাদেশ
- ১২ ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারে আলাদা লাবিবা-লামিসা
১২ ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারে আলাদা লাবিবা-লামিসা

ফাইল ছবি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৃতীয় দফায় টানা ১২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে আলাদা হলো জোড়া যমজ শিশু লাবিবা ও লামিসা। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অস্ত্রোপচারে যুক্ত ছিলেন ৩৮ জন চিকিৎসকের একটি দল। রাতে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, শিশু দুটির জ্ঞান ফিরেছে।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের লাল মিয়া ও মনুফা বেগম দম্পতির সন্তান লাবিবা ও লামিসা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে জোড়ালাগা অবস্থায় তাদের জন্ম হয়। ওই অবস্থায় ৯ দিন বয়সে শিশু দুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখান থেকে তাদের পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
অস্ত্রোপচারে যুক্ত চিকিৎসকরা বলছেন, ২০১৯ সালেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের এক দফা অস্ত্রোপচার হয় শিশু দুটির। এরপর গত ১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হয় ওদের। এর তিন মাস পর গতকাল আবার অস্ত্রোপচার হলো।
গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এই হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ-উল হক কাজল বলেন, শিশু দুটির যোনিদ্বার, পায়ুপথ ও প্রস্রাবের রাস্তা একসঙ্গে জোড়া লাগানো ছিল। ওগুলোকে ক্ষতি না করে পৃথক করা বড় চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেটা সফলভাবে করা গেছে।
তিনি বলেন, ওদের মেরুদণ্ডও জোড়ালাগা ছিল। তা আলাদা করাও চ্যালেঞ্জের ছিল। মেরুদণ্ড নিচের দিকে জোড়া লাগানো ছিল। স্পাইনাল কর্ডে যদি আঘাত লাগে, তাহলে স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এটা নিয়ে খুব ভয় ছিল। কিন্তু নিউরোসার্জনদের দল ওই অস্ত্রোপচারও সফলভাবে শেষ করেছেন।
অস্ত্রোপচারে চিকিৎসক দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক আশরাফ বলেন, বাচ্চা দুটো পৃথক হওয়ার পর তারা পা নাড়তে পারছে। পা নাড়তে না পারলে আমরা বুঝতাম তাদের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তারা দু'জন পঙ্গু হয়ে যেতে পারত। প্রথমে জ্ঞান ফেরে লাবিবার, পরে লামিসার।
মন্তব্য করুন