- সারাদেশ
- সুপেয় পানির সংকটে দিশেহারা উপকূলবাসী
মোংলায় বিশ্ব পানি দিবস পালিত
সুপেয় পানির সংকটে দিশেহারা উপকূলবাসী

ছবি: সমকাল
‘জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় মিষ্টি পানির আধারের যেমন সংকট রয়েছে, অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চারিদিকে পানি থৈ থৈ করলেও সুপেয় পানির সংকটে দিশেহারা উপকূলবাসী। অতিমাত্রায় লবণাক্ততা এখন উপকূলের প্রধান দুর্যোগ যা মোকাবেলায় প্রান্তিক মানুষেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে টেকসই, জনবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে’।
মোংলায় নাগরিক সমাজ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে বিশ্ব পানি দিবসের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। 'ভূগর্ভস্থ পানির অদৃশ্য সমস্যা ও সম্ভাবনাকে দৃশ্যমান করা' প্রতিপাদ্যে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার শ্রমিক কলোনীতে মোংলা নাগরিক সমাজের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সবার জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবিতে খাবার পানির কলস হাতে নিয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি মো. নূর আলম শেখ। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাদাবন সংঘের অজিফা খাতুন, সার্ভিস বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, রেজা মাসুদ, বাদাবন সংঘের শাহরুখ গালিব রাব্বি, মো. আহসান, নারীনেত্রী পারভীন বেগম, রীনা ও তারা বেগম।
অন্যদিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বন্দর পুকুর পাড়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। 'সর্বত্র পানযোগ্য, মাছের বসবাসযোগ্য ও সাতারের উপযোগী পানি চাই' শ্লোগানে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ, বাপা নেতা কমলা সরকার, শেখ রাসেল ও নদীকর্মী হাসিব সরদার।
এ সময় বক্তারা বলেন, সুন্দরবনে খালে বিষ দিয়ে মাছ নিধন, কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন কাজে অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক সার এবং পদার্থের ব্যবহার, পশুর নদীসহ দেশের সকল নদ-নদীতে জাহাজী ও প্লাস্টিক বর্জ্য নিক্ষেপ, নদীতে তেল-কয়লা ভর্তি জাহাজ ডুবির ফলে পানি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এর ফলে পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বক্তারা সর্বত্র পানযোগ্য, মাছের বসবাসযোগ্য ও সাতারের উপযোগী পানির বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন