কর্মস্থলে সহকর্মী আলমগীর ‘কু-প্রস্তাব’ দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে ঘটনাটি কর্তৃপক্ষকে জানায় তরুণী। এতে সহকর্মী আলমগীরকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ কারণে ওই তরুণীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল আলমগীর। গত রোববার রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই তরুণীকে কৌশলে ফতুল্লার বক্তাবলীর চর রাজাপুর এলাকার মুরগির খামারে আটকে রেখে রাতভর দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ধর্ষক আলমগীর হোসেন জনি (২৭) ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার অপর দুইজন হলো, মাহফুজুর রহমান মুন্না (২৬) ও আবদুল গাফফার (২৫)।

গ্রেপ্তার আলমগীর সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার হাটপাচিলের মৃত আয়নালের ছেলে, মাহফুজুর রহমান মুন্না ফতুল্লা থানার ইসদাইর গাবতলীর দোহার ভিলার আলমাছ ঢালীর ছেলে এবং আব্দুল গাফফার আড়াইহাজার থানার আব্দুল হাইয়ের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর ও ধর্ষণের শিকার তরুণী মাসদাইর এলাকার একটি গার্মেন্টে কাজ করতো। সেখানে চাকরি করাকালীন আলমগীর তরুণীকে ‘কু-প্রস্তাব’ দিত। বিষয়টি ওই তরুণী কর্তৃপক্ষকে জানালে আলমগীরকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে সে অন্যত্র চাকরি নেয়।

গত রোববার রাতে ধর্ষণের শিকার তরুণী নিজ কর্মস্থল থেকে কাজ শেষে বের হলে আলমগীরের সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই সময় আলমগীর কৌশলে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে ফতুল্লার বক্তবলী চররাজাপুরস্থ শুক্কুর আলীর মুরগির খামারে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আলমগীর তাকে দুই দফা ধর্ষণ করে।

পরে তার সহযোগী মুন্না ও গাফফার তাকে রাতভর আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন সোমবার সকালে খামার থেকে তাকে বের করে একটি অটোরিকশায় তুলে দেওয়া হয়। ওই সময় ধর্ষণকারীরা ধর্ষিতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও রেখে দেয়। মঙ্গলবার ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।