- সারাদেশ
- সংকটের মুখে ৫৮ ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষাজীবন
সংকটের মুখে ৫৮ ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষাজীবন

বরিশালের উজিরপুর উপজেলা গুঠিয়া জেডএ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পলি খানম, ফাহিম ও মুনসহ ৫৮ জন শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে ক্লাস করে আসছে। অথচ তারা জানে না যে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সর্বশেষ জেএসসি পরীক্ষার (২০২১) উর্ত্তীণের তালিকায় তাদের নাম নেই। অর্থাৎ জেএসসি উত্তীর্ণ না হওয়ায় ওই ৫৮ জন নবম শ্রেণির বৈধ শিক্ষার্থীই নন। গত সপ্তাহে নবম শ্রেণির নিবন্ধন করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে বিদ্যালয়টির ৫৮ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন সংকটের মুখে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবীরের গাফিলতিতে এমন ঘটেছে বলে জানা গেছে। গুঠিয়া জেডএ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং তার বেতন স্থগিত করা হয়েছে।
সভাপতি বলেন, ৫৮ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করার বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস বিষয়টি মানবিকভাবে দেখছেন। চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন জানান, বোর্ড চেয়ারম্যান তার আইনি এখতিয়ার অনুযায়ী গুঠিয়া জেডএ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৮ শিক্ষার্থীকে জেএসসিতে উত্তীর্ণ দেখিয়ে নবম শ্রেণিতে বৈধতা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে ৫৮ জন শিক্ষার্থী ছিল। নিয়মানুযায়ী তাদের জেএসসি উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেণিতে উন্নীত হতে হবে। করোনার কারণে গত বছর জেএসসি পরীক্ষা হয়নি। তবে ফরম ফিলাপ করে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য বোর্ডে প্রেরণ বাধ্যতামূলক ছিল।
কিন্তু জেডএ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবীর তার বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোনো তথ্য বোর্ডে প্রেরণ করেননি। যে কারণে বোর্ডের কাগজপত্রে ওই বিদ্যালয়ের গত বছর ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শূন্য ছিল। কিন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের যথারীতি নবম শ্রেণিতে উন্নীত করে ক্লাস নেওয়া শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, ৫৮ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ৮ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্ত তাদের তথ্য বোর্ডে প্রেরণে বিলম্ব হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সংশোধনে বোর্ডের শরণাপন্ন হয়েছেন তারা।
মন্তব্য করুন