খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত। 

মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিএনপি কর্মী সাইফুল ইসলাম বকশী, জামায়াত নেতা মনিরুল ইসলাম পান্না, এস এম জাহাঙ্গীর আলম, বাকার বকশী, ফরহাদ বকশী, আবুল কালাম আজাদ, মো. আসলাম, আবদুর রহিম চৌধুরী হেলাল, আবদুুল মজিদ গাজী, মোল্লা মাসুদুর রহমান, এম আকরাম হোসেন মোল্লা, কাজী নূর মোহাম্মদ নূর, সৈয়দ শামীম আহসান, শেখ মাবুবুর রহমান রতন, মো. বায়জীদ ও অহিদুল ইসলাম। 

বিএনপির আইনজীবী আবদুল মালেক জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর নগরীতে মিছিল বের করে বিএনপি। ওই রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার এস আই উজ্জ্বল সরকার বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সরকার উচ্ছেদ, শেখপাড়ার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বাংলাদেশ বেতারের খুলনা ভবন ধ্বংস, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক নাশকতায় জড়ান অভিযুক্তরা। বিএনপি এবং জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অস্ত্র-সন্ত্র, লোহার রড, বাঁশের লাঠি এবং ইটের টুকরো নিয়ে তেতুলতলা মোড়ে সমবেত হয়। আসামিরা ল্যাম্পপোষ্টের আলোর সাহায্যে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হরষিৎ ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর চার্জশিট আমলে নেন আদালত। কয়েক দফায় বিচারক বদলির কারণে চার্জ গঠন শুনানি বিলম্ব হয়েছে। মঙ্গলবার চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কাজ শুরু হল।