
বুলবুল আহমেদ
রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় চিকিৎসক বুলবুল আহমেদ হত্যাকাণ্ডের আগে পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসার অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাস নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। কালো রঙের গাড়িটির গেট খোলা অবস্থায় রাখা ছিল। অবশ্য হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের সন্দেহ ছিনতাইকারী ঘিরে হলেও নিহতের পরিবারের সদস্যরা শুরু থেকেই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করে আসছেন।
নিহতের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বলেন, ডা. বুলবুল খুন হওয়ার পর এলাকাবাসীর কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, তাদের বাসার কাছেই একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়েছিল, যা আগে কখনও ওইভাবে কোনো গাড়ি থাকেনি সেখানে। কেন বা কারা মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করছিল তা তদন্ত করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, কাজীপাড়ার যে স্থান থেকে বুলবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, সেখানে তার যাওয়ার কথা নয়। বাসা থেকে বেরিয়ে ফার্মগেটে যাওয়ার কথা ছিল তার। কারণ, সেখানে রংমিস্ত্রি সোহরাব হোসেনকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন বুলবুল। সেখান থেকে তারা সায়েদাবাদ হয়ে নোয়াখালী যেতেন। উল্টো কাজীপাড়ার দিকে যাওয়ার বিষয়টিও সন্দেহজনক।
তদন্ত-সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মাইক্রোবাস সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই। প্রাথমিক তদন্তে তাদের মনে হয়েছে, এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা। মিরপুর এলাকার তালিকাভুক্ত কিছু ছিনতাইকারীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলাটি তদন্ত করছে মিরপুর থানা পুলিশ। এই থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় সমকালকে বলেন, মাইক্রোবাস সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখনও পর্যন্ত জড়িত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তদন্ত অব্যাহত আছে।
গত রোববার ভোরে পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে বের হন 'গরিবের চিকিৎসক' খ্যাতি পাওয়া ডা. বুলবুল আহমেদ। ভোর ৫টা ১৯ মিনিটে কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে ২৭৮ নম্বর পিলারের কাছে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি। তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোনের মধ্যে একটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তার কাছে অপর একটি মোবাইল ফোন এবং ১২ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেন।
মন্তব্য করুন