চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মাহাদি জে আকিব মঙ্গলবার হাসপাতাল ছেড়েছেন। মাথায় দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ অবস্থায় আজ দুপুর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

নিউরোসার্জারি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আকিবের অস্ত্রোপচার হয়। দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার শেষে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তার অস্ত্রোপচারের স্থানে কিছু সেলাই কাটা হয়েছে সোমবার। আজ আরও কিছু সেলাই কেটে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, আকিব সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাকে কয়েক দিন বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। এরপর পুনরায় আকিবকে ফলোআপের জন্য হাসপাতালে আসতে হবে। 

আকিবের বাবা স্কুলশিক্ষক গোলাম ফারুক মজুমদার বলেন, ‘ সবার দোয়ায় এখন সুস্থ হয়েছে আমার ছেলে। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

গত ৩০ অক্টোবর চমেকের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রলীগের একটি পক্ষের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান আকিব। জখম গুরুতর হওয়ায় আকিবের পুরো মাথায় লাগানো হয়েছে সাদা ব্যান্ডেজ। এতে ডাক্তার লিখে দিয়েছেন ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না।’ যা দেশের মানুষের মনে নাড়া দিয়েছে। মাথায় আঘাত বেশি হওয়ায় আর্টিফিশিয়াল ডুরামেটার দিয়ে ব্রেইনের পর্দা তৈরি করেন চিকিৎসকরা। সেখানে থাকা হাড়টি পেটের চামড়ার নিচে আলাদা একটা কক্ষ তৈরি করে রাখা হয়। দ্বিতীয় অপারেশন করে হাড়টি প্রতিস্থাপন করা হবে। 


আকিব চমেকের এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার গোলাম ফারুক মজুমদারের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট তিনি।

চমেক হাসপাতালে বিবদমান ছাত্রলীগের দুইটি পক্ষ রয়েছে। একটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী। অন্যটি সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন অনুসারী। উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আকিবসহ তিনজন আহত হন। মারামারি ও হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।