৩০ শতক জমি বর্গা নিয়ে মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া ও লাউ চাষ করেন কৃষক নজির মিয়া (৫০)। ফলনও আসতে শুরু করেছে। ঠিক সে সময় শত্রুতা করে রাতের আঁধারে উপড়ে ফেলা হয়েছে সব গাছ।

সকালে পরিচর্যা করতে এসে এমন দৃশ্য দেখে নজির মিয়ার মাথায় হাত। এতে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন তিনি। কোনোভাবেই কান্না থামছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কান্নার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নজির মিয়ার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ঢাকলাপাড়া এলাকায়। ঢাকালাপড়া গ্রামের প্রতিবেশী জয়নাল মেম্বারের ভাতিজা আজিজ মালের ছেলে মনিরের সঙ্গে লাউখেতের নিচ থেকে রোববার সকালে গরুর জন্য ঘাস কাটা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় বর্গাচাষি নজির মিয়ার।

সবজি হারিয়ে মাথায় হাত কৃষকের

এ সময় নজিরকে কৃষি কাজ করতে দেবে না বলে হুমকিও দেন মনির। পরদিন সোমবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় খেতে আগাছা পরিষ্কার করতে এসে নজির মিয়া দেখেন প্রায় ৩০ শতাংশ জমির চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া ও লাউগাছ কেটে দেওয়া হয়েছে।

কৃষক নজির মিয়া বলেন, ‘রোববার আমার জমিতে ঘাস কাটতে আসেন মনির মিয়া। ঘাস কাটলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে ভেবে তাকে বাধা দেওয়া হয়। তখন মনির ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেন, ‘তুই এই জমিতে কীভাবে ফসল করিস, তা আমি দেখে নেব।’

পরদিন সকালে জমিতে এসে দেখি প্রায় ৩০ শতাংশ জমির সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে ক্ষতিপূরণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান নজির মিয়া।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।