খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিয়ারুন্নেছা নামে এক রোগীর মৃত্যুর পর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তার দুই ছেলে। পরে চিকিৎসকরা দুই ছেলেকে পুলিশে দিয়ে মায়ের মরদেহ আটকে রাখেন। তাদের একজন দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন।

১৩ ঘণ্টা পর মুক্ত হয়ে তরিকুল ইসলাম কাবির ও সাদ্দাম হোসেন মায়ের মরদেহ দাফন করেন।

গত ৯ এপ্রিল রাতে ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মৃত চিয়ারুন্নেছার স্বামী মাওলানা মো. আবদুর রাজ্জাক। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মা হারানোর ব্যথায় শোকাতুর দুই ছেলের বিরুদ্ধে চিকিৎসকরা মামলাটি মানবিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেবেন, এমন প্রত্যাশা করি।’

মো. আবদুর রাজ্জাকের অভিযোগ, গত ৮ এপ্রিল গভীর রাতে তার স্ত্রীর বুকে ও পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে খুমেকে ভর্তি করা হয়। ৯ এপ্রিল রাত ১টার দিকে চিয়ারুন্নেসার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে দুই সন্তান চিকিৎসকদের কাছে ছুটে যান। কিন্তু দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর কাছে যাননি। পরে রোগী যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা যান। 

আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘মা মারা যাওয়ার পর আমার দুই ছেলে ইন্টার্ন ডা. মনিষ কান্তি দাস ও ডা. প্রীতম কর্মকারকে বলে আপনাদের কেমন বিবেক? আপনাদেরও তো মা আছে.. আপনাদের মা হলে কি করতেন! এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক, ওয়ার্ড বয় ও অন্যান্য কর্মচারীরা মিলে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন আমার দুই ছেলেকে এলোপাতারি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। পরে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ কাছে আমার দুই সন্তানকে সোপর্দ করে। আমার স্ত্রীর লাশও তারা আটকে রাখে।’

সংবাদ সম্মেলনে মৃত চিয়ারুন্নেছার ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম কাবির, সাদ্দাম হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের খুলনা মহানগর কমিটির সেক্রেটারি শেখ মো. নাসির উদ্দিনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।