- সারাদেশ
- নারায়ণগঞ্জের ছয় নৌপথে লঞ্চ চলাচলে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চান মালিকরা
নারায়ণগঞ্জের ছয় নৌপথে লঞ্চ চলাচলে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চান মালিকরা

নারায়ণগঞ্জ থেকে ছয়টি নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের ওপর বিআইডব্লিউটিএ'র স্থগিতাদেশকে বেআইনি দাবি করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।
তারা বলেছেন, এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে ছয় নৌপথে চলাচলকারী ৭০টি লঞ্চের মালিক এবং ৪২০ জন নৌ শ্রমিকের আয়ের একমাত্র পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন তারা।
অবিলম্বে লঞ্চ চলাচলের স্থগিতাদের প্রত্যাহার না করা হলে আদালতে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করেছেন তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের সংগঠন কার্যালয়ে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মাহাবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদুর রহমান রিন্টু, আবুল কালাম খান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএম আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। এতে ১০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এই ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌনিট্রা বিভাগের পরিচালক প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে এসব নৌপথে চলাচলরত ৭০টি লঞ্চের সময়সূচি ২১ মার্চ থেকে স্থগিত করেন।
নেতারা জানান, স্থগিতাদেশ দেওয়া নৌ পথগুলো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-মতলব, নারায়ণগঞ্জ-মাছুয়াখাল, নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ-ওয়াপদা-সুরেশ্বর এবং নারায়ণগঞ্জ-রামচন্দ্রপুর। উল্লিখিত নৌপথগুলোতে ৭০টি লঞ্চে প্রতিদিন আনুমানিক ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনা এড়াতে সানকেন ডেক বিশিষ্ট ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হলেও এখন দুর্ঘটনার আশংকা আরো বেড়ে গেছে। কারণ যাত্রীরা প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাতায়াত করছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব নৌপথে শুধু লঞ্চ চলাচলের জন্য পৃথক নৌপথ দরকার। কর্তৃপক্ষ সে ব্যবস্থা করলে ছোট লঞ্চ চলাচল করলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেক কমে আসবে।
মন্তব্য করুন