টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিখোঁজের এক দিন পর গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্য (৪২) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার ধলাটেঙ্গর এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে ধলাটেঙ্গর এলাকা থেকে এদিন দুপুরে ট্রেনে কাটা পড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহত গোবিন্দ উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নগরবাড়ী গ্রামের সুভাষ চন্দ্র আর্য্যের ছেলে এবং ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি একটি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন। পরিবারের অভিযোগ, গোবিন্দকে হত্যা করে রেললাইনের পাশে লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্বজনরা জানান, গোবিন্দ আর্য্য গত সোমবার সন্ধ্যায় নারান্দিয়া বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। সর্বশেষ পালিমা বাজারে তাকে দেখা যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ধলাটেঙ্গর এলাকায় রেললাইনের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর আসে।

পরে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন মরদেহটি গোবিন্দ চন্দ্র আর্য্যের বলে শনাক্ত করেন। গোবিন্দ আর্য্যের বাবা সুভাষ চন্দ্র জানান, তার ছেলে ঋণগ্রস্ত ছিল। তাকে পাওনাদাররা বিভিন্ন সময় হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বলেন, গোবিন্দ চন্দ্র একজন সামাজিক মানুষ ছিলেন। তার এ মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত-পা ভাঙা। তার লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।