শ্যামনগরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে রাকেশ বাইন (২২) নামের এক যুবককে আটককে করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। 

মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে আটক করে। 

ঘটনার শিকার ওই ছাত্রীর উপজেলার একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা।

এ ঘটনায় ভুক্তোভোগী স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আটক রাকেশ ও তার সহযোগী রাহুল চৌকিদারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

জানা যায়, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী তার চাচাত বোনের সঙ্গে রোববার আত্মীয়ের বাড়িতে পূজা দেখতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে তাদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাকেশের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে ওই ছাত্রীকে রাকেশ ধর্ষণ করে। এ সময় রাহুল ফোনে ওই দৃশ্য ভিডিও করে রাখে এবং কাউকে জানালে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।

ভুক্তোভোগী ছাত্রীর মা বলেন, আগেও ওই দুই ছেলে আমার মেয়েকে বাজে কথা বলত। ঘটনার পর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেক জিজ্ঞাসার পর সে বিষয়টি জানায়। পরে ঘরের লোকজনকে জানিয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

শ্যামনগর উপজেলা ওসিসি (ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেল) প্রোগ্রাম অফিসার প্রণব কুমার বিশ্বাস জানান, বিষয়টি জানার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ভুক্তোভোগী ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় তাকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তার মা লিখিত অভিযোগ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নম্বর অসামিকে আটকের পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।