- সারাদেশ
- সংস্কার হওয়া ৪০ সড়ক খুঁড়তে চায় ওয়াসা
খুলনা সিটি করপোরেশন
সংস্কার হওয়া ৪০ সড়ক খুঁড়তে চায় ওয়াসা

প্রায় ৩ কোটি টাকা দিয়ে কেডিএ অ্যাভিনিউ সংস্কার করেছে কেসিসি। এই সড়ক কাটার জন্য ৩১ শে মার্চ কেসিসিকে চিঠি দিয়েছে ওয়াসা।
গত ১০ মার্চ শেষ হয়েছে নগরীর পাওয়ার হাউস মোড় থেকে পুরাতন রেল স্টেশন সড়কের (জব্বার সরণি) সংস্কারকাজ। প্রায় তিন কোটি ৩৯ লাখ টাকা দিয়ে আরসিসি ঢালাই দিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। শামসুর রহমান সড়কের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কার্পেটিং বাকি। দুই কোটি ৮০ লাখ টাকার কাজ এটি।
নগরীর অন্যতম দৃষ্টিনন্দন কেডিএ অ্যাভিনিউয়ের ড্রেন, ফুটপাত ও সড়ক সংস্কার হয়েছে গত বছর। প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা দিয়ে কার্পেটিং করা হয়। সড়ক তিনটিতে পাইপ বসানোর অনুমতি চেয়ে কেসিসিকে চিঠি দিয়েছে ওয়াসা।
শুধু এই তিনটি সড়কই নয়; পয়ঃনিস্কাশন পাইপ বসাতে বেশিরভাগ সড়কই খুঁড়তে চায় ওয়াসা। প্রথম পর্যায়ে ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫১টি সড়ক খোঁড়ার অনুমতি চেয়ে গত ৩১ মার্চ কেসিসিকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে সংস্কার হওয়া অন্তত ৪০টি সড়ক রয়েছে।
গত তিন বছরে কেসিসির ৩৬০টি সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫টি সড়কের কাজ চলছে।
২০২০ সালে অনুমোদন পায় 'খুলনা পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন' প্রকল্প। প্রায় দুই হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে প্রকল্পটিতে।
নগরীর ১৬ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০ হাজার বাড়ির পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্রে নেওয়া হবে। এজন্য ২৬৯ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসবে। এ জন্য সড়কের নিচ দিয়ে যাবে পাইপলাইন।
নগরীতে আটটি পাম্প স্টেশন এবং মাথাভাঙ্গায় ২ কোটি ৮০ লাখ লিটার এবং লবণচরা এলাকায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি শোধনাগার নির্মাণ হবে।
খুলনা পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক খান সেলিম আহমেদ বলেন, মেশিন দিয়ে এবং রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানো হবে। মাটির ৯ ফুট নিচে পাইপ বসবে।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ বলেন, কেসিসি রাস্তা কাটার জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জানতে চিঠি দিয়েছেন তারা। সড়ক খুঁড়লেও নগরবাসীর যাতে দুর্ভোগ না হয়, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, 'ওয়াসার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে দুই বছর আগে। গত ৩১ মার্চের আগে রাস্তা খোঁড়ার বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি আমাকে। ওয়াসার তালিকার বেশিরভাগ সড়কের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচের পর সেই রাস্তা কাটার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।'
মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, 'ক্ষতিপূরণ পাওয়া ছাড়া রাস্তায় হাত দিতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি নিয়ে ওয়াসার সঙ্গে বৈঠক হবে। তখন আলোচনা করব।'
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে, না হলে বাকি টাকাও অপচয় হবে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, প্রকল্প অনুমোদনের আগে যাচাই-বাছাই হয়। একই মন্ত্রণালয়ের দুই সংস্থা বিপরীতমুখী দুই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কীভাবে? তাহলে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বিভাগ বা পরিকল্পনা কমিশনের কাজ কী? এসব কর্তা ব্যক্তিকেও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।
মন্তব্য করুন