কিশোরগঞ্জের হাওরের নিকলী উপজেরায় লাথি মেরে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করার অভিযোগে স্বামীর বড় বোন ও বোনজামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এর আগে রাতে রিক্তা নামের এক গৃহবধূ বাদী হয়ে মারপিট ও ভ্রূণ নষ্ট করার অভিযোগে তার স্বামী শাহ মো. নববী (৩৫), স্বামীর বড় বোন কুমকুম (৩৮) এবং বোনজামাই আনিছুর রহমান বুলেটকে (৪৫) আসামি করে মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পরই গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোন কুমকুম ও বোনজামাই বুলেটকে গ্রেপ্তার করে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের কারপাশা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের মেয়ে রিক্তার সঙ্গে ২০০৯ সালে একই এলাকার মৃত আবুল হাসেম মুন্সির ছেলে শাহ মো. নববীর বিয়ে হয়।

তাদের তিন সন্তান রয়েছে। নতুন করে অন্তঃসত্ত্বার খবরে স্বামী নববী স্ত্রী রিক্তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভেও ভ্রূণ নষ্ট করে ফেলার। রিক্তা এতে রাজি না হওয়ায় ৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নববী, তার বড় বোন কুমকুম ও কুমকুমের স্বামী বুলেট রিক্তাকে মারধর করেন।

এ সময় গর্ভ নষ্ট করার জন্য রিক্তার পেটে তারা একের পর এক লাথি মারেন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ বলেন, এ অভিযোগে রিক্তা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া প্রধান আসামি স্বামী শাহ মো. নববীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।