নারায়ণগঞ্জ থেকে বন্ধ করে দেওয়া ৫টি রুটে চলাচলকারী ৭০টি লঞ্চ চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।

আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ শিকদার মাস্টার। এতে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি মো. মঈন মাহামুদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের নেতা মো. শহীদুল্লাহ, জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন চুন্নু, জুয়েল প্রধান, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

সবুজ শিকদার বলেন, গত ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষা নদীতে কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯-এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে ১০ জন যাত্রী নিহত হন। এরপর থেকে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ থেকে সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে লঞ্চ শ্রমিক ও কর্মচারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু বন্দরে কাজ করা শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা না করে হঠাৎ লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বন্দরের প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব শ্রমিক ও কর্মচারীদের পরিবার অনাহার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনায়ও প্রাণহানি ঘটে। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ করা হয়না। লঞ্চ চলাচল বন্ধ করলেও যাত্রীরা ট্রলারযোগে শীতলক্ষা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদী ঝঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছেন।

সবুজ শিকদার আরও বলেন, যদি ১৮ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে শ্রমিক কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।

শ্রমিক কর্মচারী ও তাদের পরিবারের কথা এবং ঈদে ঘরমুখি যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর থেকে ৫টি রুটে ৭০টি লঞ্চ চালুর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।