রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ওয়ার্ড, মেঝে পেরিয়ে গাছতলায় ঠাঁই নিয়েছেন রোগীরা। ২৪ ঘণ্টায় ১০০-এর বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। হঠাৎ রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন সিভিল সার্জন।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে দেখা যায়, ডায়রিয়ার ১২ শয্যার ওয়ার্ডের বেড, মেঝে পরিপূর্ণ। হাসপাতালের মূল ভবনের বারান্দায় শুধুই রোগী। সেখানেও জায়গা না হওয়ায় হাসপাতালের সামনে গাছতলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। চিকিৎসক ও নার্সরা ক্লান্তিহীনভাবে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। গাছতলায় স্যালাইনের স্ট্যান্ড না থাকায় কেউ গাছের সঙ্গে বেঁধেছেন। কারোর স্বজন হাত দিয়ে উঁচু করে ধরে রেখেছেন স্যালাইন।

সিনিয়র নার্স আইনুর নাহার বলেন, প্রতিদিন যে হারে রোগী বাড়ছে, তাতে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। রোগীর চাপে তারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও ওষুধ রয়েছে। জায়গা না থাকায় অনেক রোগী হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শামীম আহসান বলেন, ‘বাইরের খোলা খাবার ও পানি থেকে ডায়রিয়া ছড়াচ্ছে।’ রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ইব্রাহীম টিটন বলেন, ‘পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ রোগের চিকিৎসা বাড়িতে থেকেই সম্ভব। এ জন্য আমরা পৌরসভার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি স্যালাইন পাঠাচ্ছি।’