বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় একটি মামলা নিয়ে আবারও মুখোমুখি হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের পক্ষ এবং বিপক্ষের লোকজন। উপজেলা সদরে এমপির অনুসারীরা গত সোমবার মানববন্ধন করার পর বিপক্ষের লোকজন বুধবার পাল্টা মানববন্ধন করেছেন।

এমপির অনুসারী দড়িরচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাম দেওয়ান এক মাস আগে তার ওপর হামলার অভিযোগ এনে এমপিবিরোধী ১১ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে গত সোমবার মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তার আগের দিন এমপি অনুসারীরা হামলার অভিযোগটি মেহেন্দীগঞ্জ থানায় এজাহারভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেন উপজেলা সদরে। অপরদিকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খানের নেতৃত্বে এমপিবিরোধীরা মানববন্ধন করেন আজ।

সালাম দেওয়ান জানান, এক মাস আগে তিনি এমপির বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় পৌর শহরের চরহোগলায় পৌঁছলে পৌর কাউন্সিলর আবদুল মোতালেব জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে তাকে বেদম মারধর করা হয়। তিনি পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খানের কাছে এ ঘটনার বিচার চান। কামাল উদ্দিন এক মাসেও বিচার করতে ব্যর্থ হন। এরপর তিনি মেহেন্দীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ সেটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে টালবাহানা করতে থাকেন। গত সোমবার উপজেলা সদরে মানববন্ধন করার পর তার অভিযোগটি মেহেন্দীগঞ্জ থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

অপরদিকে পৌর কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মোতালেব জাহাঙ্গীর বলেন, দড়িরচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ মেম্বার এমপিবিরোধী। এ কারণে ওই ৫ মেম্বারের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সালাম দেওয়ান। এ নিয়ে মেম্বারদের সঙ্গে তার স্থানীয়ভাবে ঝামেলা হয়েছে। পৌর শহরে তার ওপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।

আব্দুল মোতালেব জাহাঙ্গীর দাবি করেন, এমপির পরমর্শে তাকে এবং উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব এইচএম নোমানসহ ১১ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা করেছেন সালাম দেওয়ান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খান বলেন, টিসিবির কার্ড নিয়ে মেম্বারদের সঙ্গে সালাম দেওয়ানের হাতাহাতি হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এ নিয়ে বিচারের জন্য সালাম দেওয়ান তার কাছে আসেননি। বরং এমপি বিরোধী দলকে ঘায়েল করার জন্য একটি মিথ্যা মামলা করেছেন।

এদিকে মামলার বিষয়ে জানতে মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।