টিসিবির গাড়ি-দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি, স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, ঈদের আগে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পরিশোধ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়সহ চার দফা দাবিতে সিলেটে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলা। শনিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলার সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলার অন্যতম সদস্য নিরঞ্জন দাস খোকনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, জেলার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাছান, বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন, উদীচী সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, অ্যাডভোকেট একেএম শিহাব, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সহ-সভাপতি হাছান বক্ত চৌধুরী কাওছার, সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, জেলা আহ্বায়ক মনীষা ওয়াহিদ প্রমুখ।

এ সময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার নেতা অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশিদ সুয়েব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট জেলার সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক, খেলাঘর সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিধান দেব চয়ন, সাধারণ সম্পাদক তপন চৌধুরী টুটুল, অ্যাডভোকেট নিতু কান্ত দাস, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য মতিউর রহমান, যুব নেতা আহমেদুর রশিদ রিপন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, এখনও বাজারের পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করছে। এসব ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার। যার ফলে দেশের মানুষের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলেও সরকারের তাতে মাথাব্যথা নেই। কারণ তারা মানুষের ভোটে আর বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বক্তারা বলেন, সরকার টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়ালে, স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করলে দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেট ভেঙে যেত। কিন্তু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার তা করবে না। তাই এখন শুধু দাবি জানানো না, মানুষের অধিকার নিশ্চিতে গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র, ভাতের ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।