কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে থাকলেন না সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও ফিরে আসেন তিনি। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, যথাযথ মূল্যায়ন না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে আসেন দলের এই নেতা।

শনিবার সকাল থেকে কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দিরাইয়ের চাপতির হাওরের ভেঙে যাওয়া বৈশাখী বাঁধ, বরাম হাওরের তুফানখালী বাঁধ পরিদর্শনে সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। মন্ত্রী ডুবে যাওয়া চাপতির হাওর পরিদর্শনে গেলে ক্ষুব্ধ কৃষকরা উচ্চকণ্ঠে মন্ত্রীর কাছে দুর্নীতির অভিযোগ জানানোর সময় হৈ-চৈ শুরু হয়। ব্যারিস্টার ইমনকে মন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে একসময় কৃষকদের শান্তনা দিতেও দেখা যায়।

পরে দুপুর আড়াইটায় সুনামগঞ্জ শহরতলির বাহাদরপুরে ধান কাটা উদ্বোধন শেষে কৃষকদের নিয়ে মতবিনিময় শুরু হয়। এই সময় মঞ্চে থাকা চেয়ারে মন্ত্রী, পাঁচ জন সংসদ সদস্য, কৃষি সচিব, কৃষি বিভাগের ডিজি, জেলা প্রশাসক ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বসার পর আর কোনো চেয়ার সামনের কাতারে ছিল না। এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার ইমন অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে আসেন। তার সঙ্গে দলের আরও কিছু দায়িত্বশীল নেতাও অনুষ্ঠানস্থল ছাড়েন।

এক পর্যায়ে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল উচ্চস্বরে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার নেই কেন?’ পরে আয়োজকদের পক্ষ থেকে চেয়ারের ব্যবস্থা করে সাধারণ সম্পাদককে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। এর মধ্যেই ব্যারিস্টার ইমন অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এই অনুষ্ঠানের পর সার্কিট হাউসের ইফতার অনুষ্ঠানে আবার তিনি যোগ দেন।

জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, কৃষকদের নিয়ে বড় একটি অনুষ্ঠানে দলের নেতার জন্য চেয়ার না থাকলে দলের প্রতিনিধিত্ব হয় কীভাবে, এজন্য তিনি চলে এসেছেন।

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ব্যারিস্টার ইমনের ফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভড না করায় কথা বলা যায়নি।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন বললেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভোর থেকে মন্ত্রীর প্রোগ্রাম সফল করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। দুপুর আড়াইটায় তার মাথা ব্যাথা শুরু হওয়ায় তিনি কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে আবার ইফতার পার্টিতে যোগ দেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বললেন, কিছুক্ষণের জন্য আমি অনুষ্ঠানস্থলে ছিলাম না। আমাদের সম্মানিত অতিথিদের হিসাব অনুযায়ী একটি চেয়ার মঞ্চে কম ছিল। আমরা দ্রুত আরেকটি চেয়ার তুলে ব্যারিস্টার ইমনকে আনার জন্য কর্মকর্তাদের পাঠালেও ততক্ষণে তিনি গাড়িতে উঠে চলে যান।