- সারাদেশ
- জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমান হত্যা মামলা: আসামি সানোয়ার গ্রেপ্তার
জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমান হত্যা মামলা: আসামি সানোয়ার গ্রেপ্তার

এগারো বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমান হত্যাকাণ্ডের আসামি মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে আব্দুর রউফকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট।
এন্টি টেররিজম ইউনিট-এটিইউয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর এলাকা থেকে সানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সানোয়ার জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবির ইসাবা গ্রুপের (সামরিক শাখা) সদস্য বলে জানিয়েছে এটিইউ। সালমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর সানোয়ার পলাতক ছিলেন।
২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানাধীন খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেওয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়। তারা জানায়, সানোয়ারের সম্পৃক্ততার কথা।
গ্রেপ্তার হওয়া সানোয়ার নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ছোট চাঁদপুরের বাসিন্দা। হত্যাকাণ্ডের আগে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামে থাকতেন।
এন্টি টেররিজম ইউনিট জানায়, এটিইউয়ের একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছোট চাঁদপুর এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে আছে সানোয়ার। সেখানে সে রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করছে ও ভেড়া লালনপালন করে। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্য হিসেবে যোগ দেয়। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে বেশ কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হন। পরে তাদের অন্তর্কোদলের কারণে জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমানকে হত্যা করে সানোয়ার ও তার সহযোগীরা।
হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়া সানোয়ার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরনো জেএমবিকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছিল বলে দাবি করছে এটিইউ।
সালমান হত্যাকাণ্ডের দায়ে ২০১৯ সালে ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় সানোয়ারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া সানোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। গোমস্তাপুর থানাতেও মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মন্তব্য করুন