- সারাদেশ
- কুপিয়ে হত্যার পর পুঁতে রাখা হয় জুয়াড়ির লাশ
কুপিয়ে হত্যার পর পুঁতে রাখা হয় জুয়াড়ির লাশ

আরিফুল ইসলাম হিটলু। ছবি- সংগৃহীত
বগুড়ার ধুনটে জুয়ার টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে আরিফুল ইসলাম হিটলু (৩৮) নামের এক জুয়াড়িকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ পাশের শাজাহানপুর উপজেলার একটি পুরনো কবরস্থানে পুঁতে রাখা হয়।
রোববার কবরস্থান থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় হিটলুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে হিটলুকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।
নিহত হিটলু উপজেলার বেড়ের বাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে। তিনি ধুনট ও পাশের শাজাহানপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা। জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করেই প্রায়ই সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটতো।
হিটলুর বাবা আব্দুল জলিল জানান, পুর্ব শক্রতার জের ধরে শনিবার রাতে ১১টার দিকে বেড়েরবাড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নবাব আলী মণ্ডল তার সহযোগী পলাশ, জামাল, সালেক, লুৎফর ও ফুলবাবুকে নিয়ে হিটলুকে বেড়েরবাড়ি বুড়িরভিটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, হিটলুর লাশ শাজাহানপুর থানা এলাকার কবরস্থানে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
পুরাতন কবরে নতুন মাটি চাপা দেওয়া হিটলুর লাশ
তিনি আরো জানান, শনিবার রাতে বেড়েরবাড়ি এলাকায় হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে রাতেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে হিটলুকে হত্যা করে তার লাশ গুম করে দৃর্বত্তরা। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও হিটলুর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তার লাশ উদ্ধারের তৎপরতা চালায় পুলিশ।
এরই মধ্যে রোববার সকালে পার্শ্ববর্তী শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্রফুলকোট উত্তরপাড়া বটতলা গ্রামের কবরস্থানে একটি কবরে একজনের পা বের হয়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশের সহায়তায় কবরস্থানের একটি পুরাতন কবরে নতুন মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় হাত-পা বাঁধা হিটলুর লাশ উদ্ধার করে ধুনট থানার পুলিশ।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধুবালা জানান, হিটলুর লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হিটলুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হত্যাকাণ্ড ধুনট থানা এলাকায় সংঘঠিত হয়েছে আর লাশ উদ্ধার হয়েছে শাজাহনপুর থানা এলাকায়। আমরা ধুনট থানা পুলিশকে সহযোগিতা করেছি। তাই মামলা ধুনট থানায় রেকর্ডভুক্ত হবে।
মন্তব্য করুন