রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনসহ নিরবিচ্ছিন্ন চলাচলে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ। রোববার সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পিআর) শাহাদাত হুসেন রাসেলের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা অনুসরণের জন্য বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রমজান ও ঈদ সামনে রেখে কোনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদের ছুটি সামনে রেখে অস্থায়ীভাবে মৌসুমী কাউন্টার স্থাপন করে টিকিট বিক্রি করা যাবে না। স্বল্প পাল্লার (সিটি সার্ভিস/টাউন সার্ভিস) বাস দিয়ে দূরপাল্লার রুটে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

রমজান মাসে খাতুনগঞ্জগামী মালবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানগুলো টেরিবাজার রোড দিয়ে প্রবেশ না করে জেল রোড (শাহ আমানত মাজার রোড) দিয়ে খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করবে এবং লোড-আনলোড শেষে সব গাড়ি মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে বের হয়ে যাবে। এ ছাড়া টেরিবাজার ও হাজারি গলির মুখে যানজট নিরসনে টেরিবাজার মেইন রোড গ্যাপ বন্ধ রাখা হবে এবং টেরিবাজার রোডে সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। চাক্তাইগামী পণ্যবাহী সব ট্রাক-কাভার্ডভ্যান রাজাখালী রোড দিয়ে প্রবেশ করবে এবং লোড-আনলোড শেষে সব গাড়ি চাক্তাই রোড ব্যবহার করে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে বের হয়ে যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, গরিবুল্লাহ শাহ মাজারকেন্দ্রিক দূরপাল্লাগামী এসি বাসগুলো স্কুল চলাকালে জাকির হোসেন রোড ব্যবহার না করে বায়েজিদ লিংক রোড ব্যবহার করবে এবং যাত্রী ওঠানামার জন্য প্রতি কাউন্টারের সামনে একটি বাস ১০ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়াতে পারবে না। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে আন্তঃজেলা কোনো নন-এসি বাস শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না।

এছাড়া কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান থেকে ঢাকা বা দূরবর্তী জেলার যাত্রীবাহী বাসগুলো বায়েজিদ লিংক রোড দিয়ে চলাচল করবে। গাড়ি পার্কিং নিয়ে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বা যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না এবং অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।